Kazi Nazrul University: 'বরখাস্তের নোটিশ আইনত সঠিক নয়', স্বেচ্ছাবসরে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বরখাস্ত করেছিলেন রাজ্যপাল। এরপর মামলা গড়ায় হাইকোর্টে।
অর্ণবাংশু নিয়োগী ও শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে অবশেষে জট কাটল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। কীভাবে? রাজ্যপাল যখন উপাচার্যকে বরখাস্তের নোটিশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন স্বেচ্ছাবসরের কথা জানিয়ে দিলেন উপাচার্যও। আগামিকাল, শুক্রবার রাজভবনে উপাচার্য পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে 'দুর্নীতি'। উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, এমনকী পড়ুয়ারাও। উপাচার্যের বিরুদ্ধে ২৬ লক্ষ টাকা আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহু প্রাচীন ও মূল্যবান গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এমনকী, অনিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও নাকি নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ!
গত সপ্তাহে উপাচার্যকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, তিনি দেখা করেননি। এরপর ১৩ মে উপচার্যকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল। রাজভবন থেকে নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, উপাচার্য ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। সেকারণে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: Kolkata Airport: শহরে দুর্যোগ! কলকাতা বিমানবন্দরে ব্যাহত বিমান পরিষেবা
এদিকে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উপাচার্য। এদিন মামলার শুনানি হয় বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। শুনানিতে উপাচার্য নিজেই স্বেচ্ছাবসরের কথা জানান। রাজ্যপাল উপাচার্যকে বরখাস্তের নোটিশ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। এর আগে, উপাচার্যকে বরখাস্তের নোটিশ আইনত সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি চন্দ।
হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, 'কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। শিক্ষা দফতরকে এড়িয়ে কাউকে বরখাস্ত করা আইনসম্মত নয়, এটা আমরা আগেই বলেছিলাম। আমি বিশেষ কিছু বলতে চায় না। তবে ভবিষ্যতে যেরকম স্বেচ্ছাচারিতা দেখব, সেরকম ব্যবস্থা নেব'।