Narkeldange Case: অন্তঃসত্ত্বাকে মারধর! কেমন আছেন নারকেলডাঙার মা ও গর্ভস্থ সন্তান? কী বলছে USG রিপোর্ট
Narkeldange Case: নারকেলডাঙা কাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮। এই ৮ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস।স্থানীয় গোলমালের ফলেই এই ঘটনা। অভিযোগকারী এবং আক্রান্তদের মধ্যে গন্ডগোল ছিল। সুকান্ত মজুমদার তোপ দাগেন, এই ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতার নিদর্শন। উল্টোদিকে, কুণাল ঘোষ পাল্টা তোপ দাগেন যে, মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নারকেলডাঙা কাণ্ডে আলট্রাসাউন্ড রিপোর্টে স্বস্তি। সুস্থ আছে মা ও শিশু। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নারকেলডাঙার ওই অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলা এবং তাঁর গর্ভস্থ সন্তান, দুজনেই ভালো আছে। গর্ভস্থ সন্তানের বয়স ২৭ সপ্তাহ। সমস্ত রকম ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। করা হয়েছে এন্ডোস্কপিও। এপ্রসঙ্গে ডিসি ইএসডি প্রিয়ব্রত রায়ও বলেন, যিনি অসুস্থ ছিলেন, তিনি ঠিক রয়েছেন। মা এবং শিশু সুস্থ রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, স্থানীয় গোলমালের ফলেই এই ঘটনা। অভিযোগকারী এবং আক্রান্তদের মধ্যে গন্ডগোল ছিল। যারা অভিযুক্ত এবং যারা আক্রান্ত, তাদের মধ্যে পুরনো বিবাদ ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিস। শনিবার থেকেই সমস্যার সূত্রপাত হয়। রবিবার সেটাই বড় আকার নেয়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডিসি ইএসডি প্রিয়ব্রত রায় আরও জানান, যাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নারকেলডাঙা কাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮। প্রথমে ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। সবমিলিয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। নতুন একটি ধারা, ৩৫৪ ধারা যোগ করা হয়েছে এই মামলায়। মহিলাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এই ঘটনায়। তাই নারকেলডাঙা কাণ্ডে যোগ করা হয়েছে ৩৫৪ ধারা। প্রসঙ্গত, নারকেলডাঙা কাণ্ডে ধৃত শিবশঙ্কর দাস ও দীপক দাসকে পুরনো একটি মামলাতেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে, ডিসি ইএসডি প্রিয়ব্রত রায় স্পষ্ট করে দেন যে, কারা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত, সেটা দেখা পুলিসের কাজ নয়। অন্যদিকে, এদিন অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলাকে দেখতে কলকাতা মেডিকেল কলেজে আসেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: সবথেকে বিশ্বস্ত ইডি! সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন দিলীপের
সুকান্ত মজুমদার তোপ দাগেন, এই ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতার নিদর্শন। মহাভারতের দুর্যোধন ও দুঃশাসনের তুলনা টানেন অন্তঃসত্ত্বাকে মারধর করার ঘটনায়। উল্টোদিকে, কুণাল ঘোষ পাল্টা তোপ দাগেন যে, মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, 'নারকেলডাঙার ঘটনা নিয়ে মিথ্যা প্রচার চলছে। এটাও কাশীপুরের ঘটনার মতো হবে। এই ঘটনার সাথে তৃণমূল--বিজেপির সম্পর্ক নেই। ওখানে বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা। রাজনৈতিক রং চড়াতে নেমে পড়েছে বিজেপি। কুৎসা করার আগে বিজেপির ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা উচিত।' এদিন এই ঘটনায় নারকেলডাঙা থানায় ডেপুটেশনও দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। অভিযোগ যদি মিথ্যে হয়, তবে অভিযোগকারীকে সাজা দিতে হবে। পুলিসি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।