নতুন লড়াইয়ে টাটারা
সিঙ্গুর মামলা নিয়ে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানাবে টাটা মোটর্স। টাটাদের নতুন আবেদনে কী থাকবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে। মনে করা হচ্ছে, নতুন আবেদনে সিঙ্গুর আইনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের বিষয়টির ওপর জোর দেবে টাটারা
সিঙ্গুর মামলা নিয়ে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানাবে টাটা মোটর্স। টাটাদের নতুন আবেদনে কী থাকবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে। মনে করা হচ্ছে, নতুন আবেদনে সিঙ্গুর আইনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের বিষয়টির ওপর জোর দেবে টাটারা। সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন ও উন্নয়ন আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় টাটা মোটর্স। কিন্তু সে মামলার রায় টাটা মোটর্সের পক্ষে যায়নি। হাইকোর্ট জানায়, রায়ে অখুশি কোনও পক্ষ দোসরা নভেম্বরের মধ্যে উচ্চতর ক্ষেত্রে আবেদন জানাতে পারেন। সেই মতো ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হচ্ছে টাটারা। ডিভিশন বেঞ্চের সেই আবেদনে কী থাকতে পারে? তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সিঙ্গুর জমি পুনর্বানস ও উন্নয়ন আইনকে আবেদনে যে টাটারা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেই, তা নিযে সন্দেহের কোনও অবকাশই নেই। কারণ, এই আইন অবৈধ বলে গোড়া থেকেই বলে এসেছে টাটারা। পাশাপাশি, লিজ চুক্তি কার্যকর থাকার সময় কেন সিঙ্গুরে কারখানার জমির দখল নিল রাজ্য সরকার, তা নিয়েও আবেদনে প্রশ্ন তোলা হতে পারে। কারণ, টাটাদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের লিজ চুক্তি দুহাজার বারো সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পুনর্নবীকরণ হয়। ডিভিশন বেঞ্চের কাছে টাটারা বলতে পারে, আঠারোশ চুরানব্বই সালের জমি আইন মোতাবেক রাজ্য সরকার যখন একটি জমি অধিগ্রহণ করেন, সেখানে ইচ্ছুক বা অনিচ্ছুক কৃষকের কোনও প্রসঙ্গই থাকতে পারে না। একুশে জুন সিঙ্গুরের জমি দখল নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এরপরই টাটাদের আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল, জমি দখল নেওয়া হলেও কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি সরকারের তরফে। আদালতও তার রায়ে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি এনেছিল। সে জন্য ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গ বড় হতে পারে টাটাদের আবেদনে। নোটিস ছাড়া কীভাবে জমি দখল করল সরকার, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে পারেন টাটারা।