SSC, Calcutta High Court: হাইকোর্টের নির্দেশ অবশেষে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ এসএসসি-র
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে বিপাকে এসএসসি। 'ভুয়ো শিক্ষক কতজন?, কোন স্কুলে তাঁরা কর্মরত'? স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে 'দুর্নীতি'। হাইকোর্টের নির্দেশে এবার অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি। তালিকায় নাম রয়েছে ১৮৩ জনের। কমিশন সূত্রে খবর, Rank Jumping-র মাধ্যমে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন,তাঁদের সন্ধান করতে গিয়েই ওই ১৮৩ জনের হদিশ মিলেছে।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে বিপাকে এসএসসি। নবম ও দশম শ্রেণিতে ১৮৩ জনকে নিয়োগের ভুয়ো সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল, সেকথা আগেই আদালতে জানিয়েছিল কমিশন। গতকাল, বুধবার সেই তালিকা এসএসসি-র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সময়সীমা ২৪ ঘণ্টা। শুধু তাই নয়, কমিশনের আইনজীবীকে বিচারপতি বলেন, 'যাঁরা ভুয়ো সুপারিশপত্র পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কতজন চাকরি করছেন? কোন স্কুল কর্মরত তাঁরা? তাঁদের নাম স্কুল পরিদর্শককে জানাতে হবে'।
আরও পড়ুন: রাজীবের তুলনা টেনে সুবীরেশকে অন্যত্র নিয়ে জেরার পক্ষে মত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
এদিকে মেধাতালিকা প্রকাশের দাবিতে আন্দোলনের নেমেছেন উচ্চ প্রাথমিকের কর্মপ্রার্থীরা। যাঁরা দু'বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন, ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনায় বসেছেন তাঁরা। আন্দোলকারীদের দাবি, নভেম্বর দ্বিতীয় সপ্তাহে উচ্চ প্রাথমিকে মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি এখনও।
ব্য়বধান মাত্র ১ বছরের। তৃণমূল জমানার দু'দফায় উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। প্রথমে ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি, তারপর অনলাইনে ২০১৫ সালের জুনে। সেবছরেরই অগস্টে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। এরপর কর্মপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিয়েও চলে টালবাহানা। শেষপর্যন্ত ইন্টারভিউয়ের পর মেধাতালিকাও প্রকাশ করা হয় দু'বার! কিন্তু দুটি তালিকাই বাতিল করে দিয়েছে আদালত।