কড়া ঠান্ডা, নিউমোনিয়ায় মৃত্যু রোগীর! নিউরো সায়েন্সকে জরিমানা স্বাস্থ্য কমিশনের

সমস্ত ঘটনা শুনে আপাতত এক লক্ষ টাকা অন্তবর্তী ক্ষতিপূরণ হিসেবে জমা রাখতে বলা হয়েছে মল্লিক বাজারের ওই বেসরকারি হাসপাতালকে। 

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Edited By: Priyanka Dutta | Updated By: Sep 16, 2020, 11:58 PM IST
কড়া ঠান্ডা, নিউমোনিয়ায় মৃত্যু রোগীর! নিউরো সায়েন্সকে জরিমানা স্বাস্থ্য কমিশনের
ফাইল চিত্র

তন্ময় প্রামাণিক: ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য কমিশন। প্রাথমিত তদন্ত অনুযায়ী হাসপাতালের গাফিসতিতেই মৃত্যু হয়েছিল হুগলির সুবোধ কুমার মণ্ডলের। হাসপাতালের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে তাপমাত্রা ছিল অত্যন্ত কম। তা থেকেই বাঁধে নিউমোনিয়া। সেই চিকিৎসা করতে গিয়েই ফের বিপত্তি। রোগীর রক্তনালীতে আঘাত লাগে। আর তার জেরেই মৃত্যু হয় হুগলির সুবোধকুমার মণ্ডলের।

সমস্ত ঘটনা শুনে আপাতত এক লক্ষ টাকা অন্তবর্তী ক্ষতিপূরণ হিসেবে জমা রাখতে বলা হয়েছে মল্লিক বাজারের ওই বেসরকারি হাসপাতালকে। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'রোগীর পরিবার এবং হাসপাতাল, দু'পক্ষকেই হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: 'বয়স কম, সংশোধনের সুযোগ', আইনজীবী রজত দে খুনে স্ত্রী অনিন্দিতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

স্নায়ুর সমস্যা নিয়ে নিউগড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন সুবোধবাবু। চলতি বছর ১৩ জানুয়ারি সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হয় মল্লিক বাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সে। হাসপাতালের ওপর ভরসা রাখতে না পেরে ৬দিন থাকার পরই রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় রোগীর পরিবার, সেখানেই মৃত্যু হয় রোগীর। মল্লিক বাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সের বিরুদ্ধে রোগীর পরিবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ আনে।

পরিবারের অভিযোগ, জরুরি বিভাগে যখন আনা হয়, হাসপাতালের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের তাপমাত্রা অত্যন্ত কম ছিল। ঠকঠক করে কাঁপছিলেন বৃদ্ধ। তবু পাতলা চাদরের থেকে জোটেনি বেশি কিছু। সেখান থেকে বৃদ্ধের নিউমোনিয়া হয়। দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে।" তাঁদের আরও অভিযোগ ভেন্টিলেশন পদ্ধতি শুরু করার সময়েই আঘাতপ্রাপ্ত হয় বৃদ্ধের রক্তনালী। চিকিৎসকের অপটু হাতকেই দায়ী করেছেন বৃদ্ধের পরিবার। অভিযোগ, শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেলেও হাসপাতালে সে সময় একজন কোনও ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন না।

স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যানের কথায়, "সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে একজন পালমোনোলজিস্ট থাকা বাধ্যতামূ্‌লক। কেন তা ছিল না সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।" ১৩ থেকে ২০ জানুয়ারি ৭ দিন ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বৃদ্ধ। ভরসা রাখতে না পেরে পরিবারের লোক তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। হুগলিতে বাড়ির কাছেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই মারা যান সুবোধবাবু। 

সমস্ত অভিযোগ শুনে স্বাস্থ্য কমিশনের প্রাথমিক বক্তব্য, "টানা ৬ ঘণ্টা জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছিল বৃদ্ধকে। ঠান্ডায় তাঁকে একটা কম্বলের ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিৎ ছিল। কেন তা দেওয়া হল না সে বিষয়ে হাসপাতালের বক্তব্যও জমা দিতে বলা হয়েছে। অবিলম্বে অর্ন্তবর্তী ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ লক্ষ টাকা জমা রাখতে বলা হয়েছে।"

.