ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা, সল্টলেকে ভুয়ো কল সেন্টার থেকে গ্রেফতার ১৬
পুলিস সূত্রে খবর, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের এস ডি এফ বিল্ডিংয়ের ২১৫ নম্বর ঘরে ইভান অ্যাচিভার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ভুয়ো কল সেন্টার চালু করেছিল এই প্রতারণা চক্র। সেখান থেকে ওয়ার্ক ইন্ডিয়া নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন দিত এই চক্র।
নান্টু হাজরা: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে যখন ধরপাকড় চলছে সেই সময় সল্টলেকের সেক্টর ৫ এ একটি ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ মিলল। সেখানে হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৬ জনকে। জানা যায়, ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা চলছিল ওই কল সেন্টারে। ওই ভুয়ো অফিসে হানা দিয়ে ১০ মহিলা সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ওই অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট।
কীভাবে চলত এই কাজ?
পুলিস সূত্রে খবর, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের এস ডি এফ বিল্ডিংয়ের ২১৫ নম্বর ঘরে ইভান অ্যাচিভার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ভুয়ো কল সেন্টার চালু করেছিল এই প্রতারণা চক্র। সেখান থেকে ওয়ার্ক ইন্ডিয়া নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন দিত এই চক্র। ব্যাঙ্কের ব্যাক অফিসে চাকরি দেওয়ার বিজ্ঞাপন দিত এই সংস্থা বলে পুলিস সূত্রে খবর। এই অ্যাপের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের যারা চাকরির জন্যে প্রোফাইল তৈরি করে তাদের বিভিন্ন ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ফোন করত প্রতারকরা।
এমনকি প্রাথমিকভাবে সেখানে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাবদ কিছু টাকা জমা করতে বলা হতো। রেজিস্ট্রেশন করার পরই চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ের জন্যে ডাকা হতো। তবে পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে আরও টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করত এই চক্র বলে তদন্তে উঠে আসে পুলিসের। বৃহস্পতিবার রাতে এস ডি এফ বিল্ডিংয়ের ওই ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দেয় বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস। সেখান থেকে ১০জন মহিলা সহ মোট ১৬জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের মধ্যে এই ইভান অ্যাচিভার্স প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার কর্ণধার হাসিবুর রহমানকেও গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, কাস্টমার ডেটা উদ্ধার করেছে পুলিস।
আজ অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হবে।অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিস সূত্রে খবর। এই চক্র তাদের প্রতারণা চক্রের জাল কত দুর পর্যন্ত বিস্তার করেছিল এবং এই চক্রের সঙ্গে আর কারও যোগ রয়েছে কি না, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা।