বসন্ত উৎসব বিতর্ক, ইস্তফা দিলেন রবীন্দ্রভারতীর ব্যথিত উপাচার্য
ইস্তফাপত্র পাননি বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিতর্কের মধ্যেই রবীন্দ্রভারতীতে অশ্লীলতাকাণ্ডে ইস্তফা দিলেন উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। এই ঘটনায় অত্যন্ত ব্যথিত বলে জানান সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। ইস্তফাপত্র পাননি বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আবির মাখা খোলা পিঠে বিকৃত করে লেখা রবীন্দ্র সঙ্গীত। কুত্সিত ভাষার ব্যবহার! রবীন্দ্রনাথের লেখা বিকৃতি করে তরুণীদের পিঠে লেখা, 'চাঁদ উঠেছিল গগনে।' রবীন্দ্রভারতীর বসন্ত উত্সবের ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয় তোলপাড়। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে নাম জড়িয়ে আছে রবীন্দ্রনাথের। এরা কারা? কী এদের সংস্কৃতি? রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উত্সবে হাজির তরুণতরুণীদের ছবি ভাইরাল হতেই, চার দিকে ছিঃ! ছিঃ!
খোদ কবিগুরুর নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে এমন কাজ! স্যোশাল মিডিয়ায় ছবি দেখে সংস্কৃতিবান বাঙালির চোখ কপালে। মান বাঁচাতে পুলিসের দ্বারস্থ কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ বাংলার সংস্কৃতিকে কলুষিত করছে এই তরুণ-তরুণীরা। উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী বলেন,''এটা অনভিপ্রেত ঘটনা। বাবা-মা কেমন শিক্ষা দেন!''
বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করতেই একাজ করেছে বহিরাগতরা বলে অভিযোগ করে ছাত্র সংসদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নয় তো এরা কারা? খোঁজ শুরু করে ছাত্র সংসদও। দেখা যায় হুগলি, শ্রীরামপুর, চন্দনগর থেকে বসন্তোত্সবের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসে এরা। ভবিষ্যতে এমন অনুষ্ঠান আদৌ করা যাবে ক্যাম্পাসে? চিন্তায় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য জানিয়েছিলেন, এমন অনুষ্ঠান আর হবে কিনা ভাবা হবে।
আরও পড়ুন- করোনা আতঙ্কে এবার বসন্ত উৎসব হচ্ছে না শান্তিনিকেতনে