মমতার কেন্দ্রত্যাগ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সরকারিভাবে সম্পর্ক ত্যাগের পর কেটে গেল তিন দিন। এখন রাজ্যের মানুষের মুখে একটাই প্রশ্ন, রাজ্যের ঝুলে থাকা বিভিন্ন প্রকল্পের ভবিষ্যত্ কী হবে?
কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সরকারিভাবে সম্পর্ক ত্যাগের পর কেটে গেল তিন দিন।
এখন রাজ্যের মানুষের মুখে একটাই প্রশ্ন , রাজ্যের ঝুলে থাকা বিভিন্ন
প্রকল্পের ভবিষ্যত্ কী হবে? দলমত নির্বিশেষে উঠছে এই প্রশ্ন।
মধুচন্দ্রিমা পর্ব শেষ। এবার থেকে কট্টর বিরোধীর ভূমিকায় তৃণমূল কংগ্রেসের একদা জোট শরিক কংগ্রেস। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে বিধানসভার সংক্ষিপ্ত অধিবেশন। বিধানসভায় বিরোধী দলের আসনে বসছেন কংগ্রেসের পদত্যাগী মন্ত্রিরা। সরকারপক্ষের ব্যর্থতার দিক তুলে শাণিত আক্রমণে সরব হবেন কংগ্রেস বিধায়করা। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার ষোল মাসের মধ্যেই জোটভঙ্গের এই ইতিহাস এক কথায় নজিরবিহীন। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের দাবি নিয়ে অধ্যক্ষকে আজ চিঠি দেবে কংগ্রেস নেতৃত্ব। তারআগে বৈঠকে বসেছেন কংগ্রেস বিধায়করা।
কংগ্রেসের ৬ মন্ত্রীর ইস্তফার পরই রাজ্য কেবিনেটে রদবদল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ইস্তফার জেরে আপাতত শূন্য হয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি দফতর। সেচ এবং মত্স দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি দফতরের ক্ষেত্রেই কেবল নতুন পূর্ণমন্ত্রী করা হবে না মন্ত্রিসভায় আরও বেশি নতুন মুখ দেখা যাবে তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও তৃণমূলসূত্রের খবর গোটা বিষয়টিই এখনও আলোচনার স্তরেই রয়েছে। তবে নতুন মন্ত্রীদের নাম নিয়ে ইতিমধ্যেই দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
দৌড়ে উঠে এসেছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বা পশ্চিম মেদিনীপুরের জ্যোতির্ময় করের নাম। আবার মুখ্যমন্ত্রীর নিজের পছন্দ হিসেবে শশী পাঁজার নামও শোনা যাচ্ছে কোনও কোনও মহলে। অনেকে আবার মনে করছেন, কলকাতা পুরসভার কাজে খুশি নয় মহাকরণ। তাই শোভন চ্যাটার্জিকে মন্ত্রী করে অন্য কাউকে মেয়রের পদে নিয়ে আসার সম্ভাবনাও সেক্ষেত্রে রয়ে যাচ্ছে।