ব্যবসায়ীর স্ত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটই বাতলে দিল বাগুইআটির ডাকাতির সূত্র
কীভাবে ডাকাতির ছক কষা হয়েছিল, তা জেনে পুলিস আধিকারিকরা রীতিমতো তাজ্জব।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গৃহবধূর সঙ্গে মোবাইলে আলাপ, চ্যাট, গোপন কথা বিনিময় আর তারপরই অপারেশন। মোবাইল ফোন চেক করেই বাগুইআটির দেশবন্ধু নগরের ডাকাতির কিনারা করে ফেলল পুলিস। দমদম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হল ৩ দুষ্কৃতীকে। কীভাবে ডাকাতির ছক কষা হয়েছিল, তা জেনে পুলিস আধিকারিকরা রীতিমতো তাজ্জব।
আরও পড়ুন: কলিংবেল বাজিয়ে ভিতরে ঢুকল ওরা, গৃহবধূকে বাথরুমে আটকেই চলল অপারেশন
প্রসঙ্গত, গত রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাগুইআটির দেশবন্ধু নগরের মত জনবহুল এলাকায় বাড়ি কলেজ স্ট্রিটের প্রিন্টিং ব্যবসায়ী কার্তিক কুণ্ডুর বাড়িতে ডাকাতি হয়। কার্তিক কুণ্ডুর স্ত্রীর দাবি, সেসময় বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। দুষ্কৃতীরা কলিং বেল বাজিয়ে ভিতরে ঢোকে, তাঁর হাত-পা বেঁধে রেখে বাথরুমে আটকে অপারেশন চালায়।
তদন্ত শুরুর পরই একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করেন গোয়েন্দারা। দেশবন্ধু নগরের মত জনবহুল এলাকায় কেন ব্যবসায়ী কার্তিক কুণ্ডুর বাড়িটিকেই বেছে নিল ডাকাত দল? কীকরে তারা জানতে পারলে নির্দিষ্ট ওই সময়তেই মহিলার স্বামী বাড়ির বাইরে থাকেন? একাধিক বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে ভাইরাল করলেন স্বামী!
এই প্রশ্নগুলিকে সামনে রেখেই গৃহবধূ স্বপ্না কুণ্ডুর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করেন তদন্তকারীরা। পুলিস জানতে পারে, সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্র ধরে সে বাড়িতে ডাকাতির ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিকবার চ্যাট করেছেন মহিলা। জানিয়েছেন নিজেদের বাড়ির খুঁটিনাটি। এর মধ্যে একটি চ্যাট হিস্ট্রি দেখে সন্দেহটা আরও জোরালো হয়। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায় পুলিস।
জানা যায়, সম্প্রতি এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় মহিলার। এরপর হোয়াটস অ্যাপের নম্বর বিনিময়। চ্যাট করেই ওই যুবক মহিলার বাড়ির বিষয়ে সমস্ত তথ্য জোগাড় করে। এরপরই দুই সঙ্গীকে নিয়ে গত রবিবার ডাকাতি।
যদিও পুলিস জানিয়েছে, মহিলার কথায় রয়েছে অসঙ্গতিও। কারণ, যে সময়ে ডাকাতি হয়েছে বলে দাবি করে ছিলেন মহিলা, সে সময় তিনি চ্যাট করছিলেন। তাই মহিলাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃতদের আজ আদালতে তোলা হবে।