বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের জোটের উদ্যোগকে তীব্র কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী
![বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের জোটের উদ্যোগকে তীব্র কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের জোটের উদ্যোগকে তীব্র কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2016/02/26/50550-mamatajot26-2-16.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের জোটের উদ্যোগকে তীব্র কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, বিরোধীরা ঘোঁট করছেন। তাঁর আস্থা মানুষের মহাজোটে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ এসেছে বিরোধী শিবির থেকে।খাতায়-কলমে এখনও জোট হয়নি। তবে, রাস্তা-ঘাটে চোখে পড়ছে ঝাণ্ডার জোট। শুরু হয়ে গেছে দেওয়াল লেখাও। বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের ওপর বিতর্ক। আচমকা মুখ্যমন্ত্রী নিজেই টেনে আনলেন জোট প্রসঙ্গ। বিরোধী দলের বিধায়কদের বললেন,
তাঁরা ঘোঁট করছেন। তৃণমূল মানুষের মহাজোট তৈরি করেছে। এই অনৈতিক ঘোঁট মানুষ মেনে নেবেন না। মানুষের দরবারে গেলে সব জব্দ হবে। সিপিএম-কংগ্রেস জোটকে মুখে স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি চান আনুষ্ঠানিকভাবে হোক এই জোট। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই বিধানসভায় তুমুল হৈ-হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষের পাল্টা কটাক্ষ আসে বিরোধী শিবির থেকে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মন্তব্য,
জোটের প্রয়োজন মুখ্যমন্ত্রীই সবচেয়ে ভাল বোঝেন। কারণ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না করলে ওই চেয়ারে তিনি বসতে পারতেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন বলেও দাবি করেন অধীর চৌধুরী। বলেন, তৃণমূল বুঝতে পারছে মানুষের এই জোট তাদের ক্ষমতা থেকে হঠাবে। এদিন, একটু তাড়াতাড়িই সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করেন বিরোধী দলনেতা। ওঠার আগে বলে যান, বাইরে ওঁরা অপেক্ষা করছেন। এরপরই, ঘরে ঢোকেন কংগ্রেস বিধায়করা।
আসন সমঝোতা নিয়ে ইতিমধ্যেই বাম ও কংগ্রেসের জেলার নেতারা আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নেতারা চাইছেন জেলার পনেরোটি আসনে তাঁরা লড়বেন। বামেদের ছাড়বেন সাতটি আসন। মালদার কংগ্রেস নেতারা আবার জেলার আটটি আসনে লড়তে চান। চারটি আসন ছাড়তে চান বামেদের। খাতায়-কলমে কেউ ঘোষণা করুক না করুক, নিচুতলায় জোটের বল গড়াতে শুরু করে দিয়েছে। শনিবার, শেষ হচ্ছে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। নতুন সরকার তৈরি হওয়ার আগে শাসক ও বিরোধী দলের এতজন বিধায়ককে আর এক জায়গায় দেখা যাবে না। রাজনৈতিক মহল বলছে, সেই সুযোগটাই কাজে লাগালেন মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় বিধায়কদের বুঝিয়ে দিলেন জোট মোকাবিলায় কী হবে প্রচারের লাইন। আর, শাসক-বিরোধী দু-দলের বিধায়কদেরই বার্তা দিতে চাইলেন, জোট নিয়ে তিনি মোটেই চিন্তিত নন।