Pool Car, Kolkata Police: গাড়ি নয় পুল-কার, কমবে যানজট-দূষণ, স্কুলে স্কুলে পোস্টার কলকাতা পুলিসের
একটি পুলকারে সর্বাধিক ১৪ জন পর্যন্ত পড়ুয়া পরিবহণ সম্ভব। অর্থাত ১৪ থেকে কমে ১। একলাফে ১৩টি গাড়ি কমিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে স্কুলের সামনে থেকে।
অয়ন ঘোষাল
Pool, it's Cool। বলছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিস। শহরের স্কুলে স্কুলে প্রতিটি ট্রাফিক গার্ডে এই স্টিকার বা বোর্ড লাগিয়ে অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণের নির্দেশ এসেছে লালবাজার থেকে।
কেন এই নির্দেশ?
১) শহরের নামী-দামী স্কুল পাড়ায় সকালে স্কুল শুরু এবং দুপুর বা বিকেলে স্কুল ছুটির সময় ট্রাফিক পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠছে। স্কুলের নিজস্ব বাস এমনকি অ্যামবুল্যান্স যাওয়ারও জায়গা থাকছে না। রাশি রাশি গাড়ি। উপচে পড়ছে রাস্তার দুপাশ। সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট বা কর্মীরা।
২) যাঁদের গাড়ি নেই, সেই সমস্ত অভিভাবকরা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে বা পায়ে হেঁটে স্কুল পর্যন্ত আসতে গিয়ে নাকানিচোবানি খাচ্ছেন। বিনা দোষে লেটে স্কুলে পৌঁছাচ্ছে তাঁদের সন্তান।
৩) বিপুল সংখ্যক গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া বিষিয়ে তুলছে সকালের কলকাতার বাতাস। তাড়াতাড়ি শিশুকে ড্রপ করেই কাজে বেরিয়ে যাবেন, এই যুক্তিতে স্কুলে আসা সিংহভাগ প্রাইভেট গাড়ি-ই আবার ইঞ্জিন চালু রাখছে।
কেন পুল কার cool?
১) একটি পুলকারে সর্বাধিক ১৪ জন পর্যন্ত পড়ুয়া পরিবহণ সম্ভব। অর্থাত ১৪ থেকে কমে ১। একলাফে ১৩টি গাড়ি কমিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে স্কুলের সামনে থেকে।
২) সার্বিকভাবে কলকাতার সমস্ত স্কুলের সামনে থেকে এই হিসেব ধরলে রাস্তায় গড়ে ৩৫ শতাংশ গাড়ি কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
৩) বিশ্বের অনেক আধুনিক শহরে ডেডিকেটেড পার্কিং জোন আছে। পুরনো শহর বলে কলকাতায় সেই সুবিধা নেই। এখন স্কুল ড্রপ গাড়ির সংখ্যা যত কমবে, তত বেশি রাস্তা সাধারণ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা যাবে।
৪) গাড়ির সংখ্যা যত কমবে, আনুপাতিক হারে তত কমবে শহরের দূষণ। ঠিক যেমন, কলকাতার ফুসফুস গড়ের মাঠ বা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড ও ভিক্টোরিয়া চত্বরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর পার্কিং নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায়, সেখানে বাতাসে কার্বন এমিশন মাত্রা কমে গিয়েছে।
পুলিসের নতুন এই টোটকাকে ইতিবাচক চোখেই দেখছেন অভিভাবকরা। তাঁদের কারোও গাড়ি আছে। কারোও নেই। এই নিদান যে আখেরে ভালো, তা মেনে নিচ্ছে দু'পক্ষই।
আরও পড়ুুন, Primary TET, Manik Bhattacharya: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও ফাঁপড়ে মানিক-রত্না, সোজা বাড়িতে সিবিআই