গঙ্গা গর্ভে মেট্রো, সময় লাগবে দেড় বছর
একদিকে হাওড়া। অন্যদিকে কলকাতা। মাঝে গঙ্গা। সব জট কাটিয়ে এবার সেই গঙ্গার তলা দিয়েই ছুটতে চলেছে মেট্রো। একত্রিশে মার্চ থেকে অবশেষে শুরু হচ্ছে টানেল তৈরির কাজ। সময় লাগবে প্রায় দেড় বছর।
ওয়েব ডেস্ক: একদিকে হাওড়া। অন্যদিকে কলকাতা। মাঝে গঙ্গা। সব জট কাটিয়ে এবার সেই গঙ্গার তলা দিয়েই ছুটতে চলেছে মেট্রো। একত্রিশে মার্চ থেকে অবশেষে শুরু হচ্ছে টানেল তৈরির কাজ। সময় লাগবে প্রায় দেড় বছর।
গোটা দেশের মধ্যে কলকাতাই সেই শহর, যেখানে মেট্রো প্রথম চলে। আর এরাজ্যই হবে দেশের মধ্যে প্রথম সেই জায়গা যেখানে নদীর নীচ দিয়ে চলবে মেট্রো।
আগামী বছর মার্চে মাটির নীচে নামবে সুড়ঙ্গ তৈরির মেশিন টিবিএম। হাওড়া ময়দান থেকে শুরু হবে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ। দুমাস সময় লাগবে সেখান থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত আসতে। হাওড়া স্টেশনের পনের এবং ষোলো নম্বর স্টেশনের মাঝের অংশ দিয়ে এরপর এগিয়ে যাবে সুড়ঙ্গ।
আর তারপরেই গঙ্গার তলদশের প্রায় তেরো মিটার নীচে দিয়ে শুরু হবে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ। মোট পাঁচশো কুড়ি মিটার লম্বা টানেল তৈরি হবে গঙ্গার তলা দিয়ে।
গঙ্গা পার করে সুড়ঙ্গ পৌছাবে নর্থ পোর্ট থানার কাছাকাছি একটি অংশে। মাটির তলা দিয়ে এসেই প্রথম স্টেশন হবে মহাকরণ। প্রায় ছ-মিটার ব্যাসার্দ্ধের এই টানেল দিয়েই ছুটবে ট্রেন। হাওড়া ময়দান স্টেশন থেকে গঙ্গা পেরিয়ে এপারের মহাকরণ স্টেশনে আসতে মেট্রোতে সময় লাগবে প্রায় বারো মিনিট।
দুহাজার নয়ে শুরু হয় ইষ্ট ওয়েষ্ট মেট্রোর কাজ। গঙ্গার তলা দিয়ে টানেল তৈরির কাজ শুরুর কথা ছিল দু হাজার এগারো থেকে। কিন্তু জমি আর রাজ্যের সদিচ্ছা, দুইয়ের অভাবে সেই কাজ পিছোতে পিছোতে পৌছেছে দুহাজার ষোলোয়। স্বপ্ন কবে বাস্তব হবে, এখন সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ তো বটেই, বিশ্বও।