Kolkata High Court Questions Bengal Police Role: দেহ উদ্ধারের ২২ বছর পর খবর পেল পরিবার! প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা
Kolkata High Court Questions Bengal Police Role: দীর্ঘ ২১ বছর কোনও খবর না পাওয়ার পর ২০১৮ সালে লালবাজারে 'নন ট্রেসেবেল' সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন জানানো হয়। এরপর ২০১৯ সালে লালবাজার মিসিং পার্সন স্কোয়াড থেকে একটি ছবি দেখানো হয়। সেই ছবি দেখেই শনাক্ত করা হয় মোহন কুর্মির দেহ।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: কলকাতা হাইকোর্টে ফের প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। ১৯৯৭ সালের একটি মামলায় হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পুলিসকে। ১৯৯৭ সালের ৩০ মার্চ নিখোঁজ হয়ে যান মোহন কুর্মি নামে এক ব্যক্তি। কাজে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান মোহন কুর্মি। পরদিন চিৎপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। অভিযোগের একবছর পর দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু তার ২২ বছর পর পরিবারকে দেহ উদ্ধারের খবর জানায় পুলিস। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে মোহন কুর্মির? তা এখনও জানে না পরিবার। পাশাপাশি, পাওয়া যায়নি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হারিয়ে গিয়েছে। এমনটাই দাবি পুলিসের। যে পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের সাফ জিজ্ঞাসা, কেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেল না? কীভাবে হারাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট? এই বিষয়ে সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন, Abhijit Gangopadhyay: জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষেধ, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘ ২১ বছর কোনও খবর না পাওয়ার পর ২০১৮ সালে লালবাজারে 'নন ট্রেসেবেল' সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন জানানো হয়। এরপর ২০১৯ সালে লালবাজার মিসিং পার্সন স্কোয়াড থেকে একটি ছবি দেখানো হয়। সেই ছবি দেখেই শনাক্ত করা হয় মোহন কুর্মির দেহ। জানা যায়, নিখোঁজ হওয়ার এক বছর পরই উদ্ধার হয়েছিল মোহন কুর্মির দেহ। কিন্তু পরিবারকে সেই কথা জানায়নি পুলিস। এমনকি কী কারণে মৃত্যু হয়েছে মোহন কুর্মির? তাও অজ্ঞাত। পরিবারের আরও অভিযোগ, সেই বছরই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চেয়ে লালবাজারে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেটাও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন, SSC, Calcutta High Court: শিক্ষকদের বদলির নিয়ম 'পালটে' দিল হাইকোর্ট!
অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে হতভাগ্য পরিবার। সেই মামলাতেই আজ কলকাতা হাইকোর্ট পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি? কীভাবে সেই রিপোর্ট হারাল? পুলিসকে তদন্ত করে দেখতে নির্দেশ দেয়। এপ্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য বলেন, 'ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য পুলিস চার সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা পুরসভাকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেবে। আর রিপোর্ট কীভাবে হারাল সেটা ৪ মাসের মধ্যে তদন্ত করে দেখবে পুলিস।'