Kharagpur IIT: খুন-ই হয়েছে খড়গপুর আইআইটির ফাইজান! কমিটির বিস্ফোরক রিপোর্ট, কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের
নজর ঘোরানোর চেষ্টা পুলিসের? আদালতের নির্দেশ, অজয় গুপ্তের উপস্থিতিতেই হবে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত। ময়নাতদন্তের সময় আগের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকও উপস্থিত থাকবেন।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: আইআইটি খড়গপুরে ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা দিল হাইকোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। অজয় গুপ্তর দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ছাত্রের মাথার পিছনে ভারী কিছুর আঘাত রয়েছে। কিন্তু পুলিসের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই। হাতে শিরা কেটে দিয়ে আত্মহত্যার দিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে।
আর এই রিপোর্ট পাওয়ার পরই ফাইজান আহমদের দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য তোলার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, তদন্তকারী অফিসারকে নতুন করে ময়নাতদন্ত করার জন্য দেহ কলকাতায় আনতে হবে। অজয় গুপ্তের উপস্থিতিতেই হবে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত। ময়নাতদন্তের সময় আগের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকও উপস্থিত থাকবেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হবে ময়নাতদন্ত। আর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের গোটা ব্যবস্থাপনাটা করতে হবে রাজ্যকে। রাজ্যের দায়িত্ব এই ব্যবস্থা করার। এক মাসের মধ্যে এই ব্যবস্থা করতে হবে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে হবে। ৩০ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, আত্মঘাতী হয়নি ছেলে। বরং তাঁকে খুনই করা হয়েছে। এই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন খড়গপুর আইআইটির নিহত ছাত্র ফাইজান আহমেদের পরিবার। গত ১৪ অক্টোবর খড়গপুর আইআইটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফাইজান আহমেদের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় তাঁর হোস্টেলের ঘর থেকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস বলে যে আত্মঘাতী হয়েছে ফাইজান। কিন্তু পরিবারের সাফ দাবি, খুন করা হয়েছে ফাইজানকে। তাঁদের ছেলের মৃ্ত্যুতে তদন্ত করুক সিআইডি বা বিশেষ তদন্তকারী দল। অসমের তিনসুকিয়া থেকে খড়গপুর আইআইটিতে ভর্তি হয়েছিল ফাইজান।
ফাইজান আহমেদের বাবা-মায়ের আবেদনের ভিত্তিতে ওই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিস সুপারের রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। খড়গপুর টাউন থানার কাছ থেকে কেস ডায়রিও তলব করেছিল আদালত। পাশাপাশি, তদন্ত ঠিকঠাক চলছে কিনা তা দেখার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিস সুপারকে একজন উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিককে নিযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতে করা আবেদনে সেলিম ও রেহানা আরও দাবি করেন, তাঁদের ছেলের মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন উত্তর মেলেনি। পুলিস তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে ফাইজান মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। তার আত্মঘাতী হওয়ার পিছনে রয়েছে তার মানসিক অসুস্থতা। কারণ, ফাইজান অ্যাসিমিলেশন প্রোগ্রামে যেতে চায়নি। প্রসঙ্গত, এটাই হল খড়গপুর আইআইটির Ragging-এর পোশাকি নাম।
আরও পড়ুন, Abhishek Banerjee: ভোট পড়ার আগেই লুঠ ব্যালট বক্স! অভিষেক বেরিয়ে যেতেই ধুন্ধুমার সিতাইয়ে