সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে খিদিরপুর ব্রিজ
প্রায় ১০০ বছরের পুরনো খিদিরপুর ব্রিজ। তৈরি হওয়ার পর থেকে এখনও একবারও এই সেতুর সংস্কার হয়নি। যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। কলকাতা বন্দর সহ দক্ষিণ শহরতলীর প্রবেশপথ এই সেতু। গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু কেন মেরামত হচ্ছে না? এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী বলছেন, টাকা নেই।
প্রায় ১০০ বছরের পুরনো খিদিরপুর ব্রিজ। তৈরি হওয়ার পর থেকে এখনও একবারও এই সেতুর সংস্কার হয়নি। যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। কলকাতা বন্দর সহ দক্ষিণ শহরতলীর প্রবেশপথ এই সেতু। গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু কেন মেরামত হচ্ছে না? এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী বলছেন, টাকা নেই।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকছে কলকাতার অন্যতম প্রাচীন খিদিরপুর ব্রিজ। ১৮৭০ সালে তৈরি করে গিয়েছিল ব্রিটিশরা। ১৪৩ বছর ধরে যানবাহনের বোঝা বয়ে ক্লান্ত সেতু। ২০০৩ সালে সেতু লাগোয়া ফুটব্রিজে বড়সড় বেশ কিছু ফাটল দেখা যায়। মেরামতির নামে ভেঙে ফেলা হয় ফুটব্রিজটাই। অথচ নতুন ফুটব্রিজ তৈরি হয়নি আজও। গাড়ি চলার রাস্তার পাশে সঙ্কীর্ণ পরিসরে একইসঙ্গে যাতায়াত করে মানুষ, ছাগল, সাইকেল। সেতুর মূল অংশেও বড়সড় ফাটল। লোহার বিমে জীর্ণতার ছাপ। বন্দর ও শিল্পাঞ্চলের ভারি কন্টেনার থেকে শুরু করে নিত্যদিনের বাস, ট্রাম। সবকিছুই বহণ করা সেতু ভেঙে পড়তে পারে যেকোনও দিন।
রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা কেন্দ্রের প্রবেশ পথ এই সেতু। তা সত্ত্বেও পরিবর্তনের দু`বছরে সেতু মেরামত করা গেলনা কেন? মন্ত্রী সাফ যুক্তি, "টাকা নেই।"
সরকারি সূত্র বলছে, রাজ্য সরকার ২০১৩-র জানুয়ারিতে সেতু মেরামতির জন্য ৬ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে। কলকাতা পুরসভাকে সে টাকা দিয়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিবহণ দফতরের অধীনে থাকা হুগলী রিভার ব্রিজ কমিশন দাবি করে, সেতু তারাই মেরামত করবে। পুরসভার কাছে বরাদ্দ টাকার সবটুকু দাবি করে তারা। দু`পক্ষের চাপানউতোরে আটকে যায় কাজ।