Maasai Mara | Kenia: মাসাইমারার জঙ্গলে মাসাইদের সঙ্গে মধ্যবয়সী বাঙালি, কুর্নিশ কেনিয়ার
Maasai Mara | Kenia: রাজা দাশগুপ্ত বলেন, "আমরা আনন্দিত। দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। মাসাইদের ঘরের লোক হওয়াটাই চ্যালেঞ্জিং ছিল।
কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: আফ্রিকার একটি দেশের রাষ্ট্রদূত এলেন এক বাঙালিকে কুর্নিশ জানাতে। গোটা দেশ তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। এমনটাই বলছেন কেনিয়ার সর্বোচ্চ আধিকারিকরা। কয়েক দশক ধরে উপজাতিদের মধ্যে কাজ করার স্বীকৃতি স্বরূপ কলকাতার মানুষ রাজা দাসগুপ্তর হাতে বিশেষ সম্মান তুলে দিল কেনিয়া।
আরও পড়ুন-'নিশীথ জিতলে কোচবিহারে মাছ খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, কারণ তাঁর নেতা বলেছে'
কী এমন করেছেন এই মধ্যবয়সী এই বাঙালি? মাসাইমারার জঙ্গলেমাসাই উপজাতিদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে কলকাতার রাজা দাশগুপ্তর। তাঁদের ভারতীয় রান্না শেখানো থেকে শুরু করে তাঁদের নিয়ে দুর্গাপুজো পর্যন্ত। কোভিড কালে তাদের পাশে থেকে সামলেছেন বিপদের ঝড়। সবটাই করেছেন নিজের অদম্য নেশার তাগিদে।
রাজা দাশগুপ্ত পেশায় পর্যটন বিশেষজ্ঞ। ফলে ঠিক চাঁদের পাহাড়ের শঙ্করের মতোই আফ্রিকার জঙ্গল জীবনে ঢুকে পড়েছেন রাজা ও তাঁর সঙ্গী সাথীরা। এতটাই যে নজর এড়িয়ে যায়নি সে দেশের সরকারের। প্রথম বার দেশের বাইরের কাউকে পর্যটনের অফিসিয়াল পার্টনারের মর্যাদা দিল কেনিয়া সরকার। তাঁর হাতে শংসাপত্র তুলে দিল কেনিয়া সরকার। বিশ বছর একটানা কাজের পর এই স্বীকৃতিতে গর্বিত রাজাবাবু।
কেনিয়ার রাষ্ট্রদূত পিটার মুনিয়ারি বলেন, "এঁরা কেনিয়াকে বিশ্বের পর্যটনে অনেকটাই তুলে ধরছেন। আমরা চাই কেনিয়ার মাসাইমা ভ্রমণে মানুষের উৎসাহ বাড়ুক আরও। সেই কাজেই এঁরা আমাদের পরিবারের একজন হয়ে উঠেছেন।"
কনসাল জেনারেল প্রণয় পোদ্দার বলেন, "কোভিড থেকে শুরু করে সব সুসময় দুঃসময়ে রাজাবাবু তাঁর হোমঅ্যাওয়ে সংস্থার সবাইকে নিয়ে পাশে থেকেছেন। তাই এই সম্মান দেওয়া হল ।" আর পর্যটন বিশেষজ্ঞ রাজা দাশগুপ্ত বলেন, "আমরা আনন্দিত। দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। মাসাইদের ঘরের লোক হওয়াটাই চ্যালেঞ্জিং ছিল।"
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)