শাসকের অস্বস্তি বাড়িয়ে চিটফান্ডের বিরুদ্ধে সরব মুখ্যমন্ত্রীর ভাই
শাসক দলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই। দীর্ঘদিন ধরেই চিটফান্ডের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন তিনি। সারদা কাণ্ডের পর তাঁর সেই আক্রমণ আরও তীব্র হয়েছে। নিজের উদ্যোগে প্রকাশিত ম্যাগাজিনে তিনি সরব হয়েছেন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও।
শাসক দলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই। দীর্ঘদিন ধরেই চিটফান্ডের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন তিনি। সারদা কাণ্ডের পর তাঁর সেই আক্রমণ আরও তীব্র হয়েছে। নিজের উদ্যোগে প্রকাশিত ম্যাগাজিনে তিনি সরব হয়েছেন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও।
বিবেক নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক। সেই সংগঠন থেকে মাসিক একটি পত্রিকার প্রকাশ শুরু হল পয়লা মে থেকে। জাগ্রত বিবেক নামে ওই পত্রিকার কভার স্টোরিতে রয়েছে চিটফান্ডের রমরমার বিরুদ্ধে তোপ। পত্রিকায় চিটফান্ড সম্পর্কে লেখা হয়েছে,
কখনও বা এই ধরনের সঞ্চয়ে যোগ হয় সাধারণ চাকুরিজীবির গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড অথবা পেনশনের মতো অমূল্য টাকা। ছোট ছোট ব্যবসার কিংবা দিন এনে দিন খাওয়া মজুরের সামান্য রোজগার সামান্য সঞ্চয়ে মন ভরে থাকে কিছু গড়ে তোলার সবুজ স্বপ্নে।
চিটফান্ড গুলির সমাজসেবামূলক প্রকল্প বা মিডিয়া ব্যবসাকেও তুলোধনা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের পত্রিকায়।
তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত করতে কখনও মেকি সমাজসেবা, স্কুল কলেজ, হোটেল, হসপিটাল, খবরের কাগজ কিংবা চিঠি চ্যানেল কী নেই সেই ঝুলিতে। খালি বলা নেই, কত নিরীহ মানুষকে রিক্ত, নিঃস্ব করে তাদের এই সম্পদ এবং ভবিষ্যতে কোটি কোটি মানুষের হাহাকার, চোখের জল অপেক্ষা করে আছে এইসব চমকদার আভিজাত্যের নিকশ অন্ধকারে।
সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে সারদা গোষ্ঠীকে। ভবিষ্যতের বিপদের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হয়নি।
সারদা কাণ্ডের পর দেখা যাচ্ছে ঝোলা থেকে সাপ বেরিয়ে পড়েছে। তারই বিষময় ছোবলে সারা বাংলা যখন তোলপাড় হচ্ছে তখনও আনাচে কানাচে লুকিয়ে আছে অসংখ্য বিষাক্ত সাপ। এদের সমূলে ধ্বংস করতে না পারলে আমাদের দেশের হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ আর্তের আর্তনাদ কোটিতে পৌঁছতে দেরি হবে না। জনসাধারণকে লোভ দেখানো অর্থাত্ পাঁচ বছরে টাকা দ্বিগুণ করা আর সাত বছরে চতুর্গুণ করে দেওয়ার মতো মরণফাঁদ কয়েক কোটি মানুষের জীবনকে এক লহমায় বিচলিত করে তুলেছে।
এই বইতে রেয়াত করা হয়নি মন্ত্রী, সান্ত্রী, আমলাদেরও।
বইতে স্পষ্ট লেখা আছে, আমানতকারীদের আরও বেশি মাত্রায় আকর্ষণ করার জন্য সমাজের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি যথা মন্ত্রী, সান্ত্রী, আমলা সহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে নানা কায়দায় ভুল বোঝানোর খেলায় তারা মেতে উঠেছে। বলা বাহুল্য এহেন অন্যায়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল সারদা গোষ্ঠী। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল, তারা মা সারদার মতো সর্বজন শ্রদ্ধেয়া এক মহিয়সী নারীকে সামনে রেখে ব্যবসা করতে দ্বিধা করেনি।
শাসক দল যেখানে স্বীকার করতে ভয় পাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে দলের নেতামন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে খানিকটা হলেও পিছপা, সেখানে কাউকেই রেয়াত করেননি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়।