"বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে আটকে রাখা অর্থহীন", কুণালের জামিন মঞ্জুর নিয়ে মত বিচারপতিদের
শেষ পর্যন্ত সারদা মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কুণাল ঘোষ। ১১ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করল হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে নারকেল ডাঙা থানা এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না কুণাল ঘোষ। সপ্তাহে একদিন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারের কাজে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। দু লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে কুণালের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। তবে জামিন পেলেও আজ বাড়ি ফেরা হল না কুণালের। সব নথি জমার পর সম্ভবত আগামীকাল ছাড়া পাবেন তিনি।
ওয়েব ডেস্ক : শেষ পর্যন্ত সারদা মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কুণাল ঘোষ। ১১ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করল হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে নারকেল ডাঙা থানা এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না কুণাল ঘোষ। সপ্তাহে একদিন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারের কাজে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। দু লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে কুণালের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। তবে জামিন পেলেও আজ বাড়ি ফেরা হল না কুণালের। সব নথি জমার পর সম্ভবত আগামীকাল ছাড়া পাবেন তিনি।
২০১৩-র ২৩ নভেম্বর সারদা কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হন কুণাল ঘোষ। প্রায় তিন বছর পর জামিন হল তাঁর। কুণাল ঘোষের জামিন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। নিম্ন আদালতে অন্য সবকটি মামলায় জামিন পেয়ে গেছেন কুণাল ঘোষ। একটি মামলাতেই জামিনে বাধা ছিল। বুধবার অবশেষে হাইকোর্টে জামিন পেয়ে গেলেন তিনি।
বুধবার বিচারপতি অসীম রায় এবং বিচারপতি মলয় মারুত ব্যানার্জির বেঞ্চে শুনানি ছিল। আদালতে সিবিআই বলে, সারদার বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে অন্যতম চক্রী কুণাল। ফলে তাকে জামিন দেওয়া উচিত হবে না। আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও আদালত জানায়, কবে সিবিআই তদন্ত শেষ করবে সে অপেক্ষায় এভাবে অভিযুক্তকে আটকে রাখা যায় না। বিচারপতিরা বলেন, ইতিমধ্যে ২ বছর ২মাস জেল খেটেছেন কুণাল ঘোষ। নিম্ন আদালত ৩ বছরের বেশি সাজা ঘোষণা করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে আর কত দিন এই অভিযুক্তকে জেলে থাকতে হবে?
সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা জীবনের অধিকার সুনিশ্চিত করে। অভিযুক্তেরও জীবনের গুরুত্ব রয়েছে। গত বছরও কুণাল ঘোষের জামিনের আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে। বিচারপতিদের মতে, তারপর পরিস্থিতি বদল হয়েছে। এখন এই অভিযুক্তকে আটকে রাখা অর্থহীন।