আবারও ব্রেন ডেথের পর অঙ্গদান, এ বার সচেতন শহরের মুখ সমর চক্রবর্তী

দমদমের বাসিন্দা সমর চক্রবর্তী পেশায় ছিলেন ব্যবসায়ী। দীর্ঘ অসুস্থতাকেড়ে নিয়েছিল তাঁর স্বাভাবিক কর্মদক্ষতা। শুধু কেড়ে নিতে পারেনি মুখের হাসি। পাড়ার লোকেরা বলছেন, সকলের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারতেন সমরবাবু। মৃত্যুর পর তাঁর অঙ্গ আরেকজনকে দেবে নতুন জীবন। এ কথা জেনে দুঃখের দিনেও খুশি দমদমের শরত্‍ বসু রোডের বাসিন্দারা।

Updated By: Jul 26, 2016, 09:29 PM IST
আবারও ব্রেন ডেথের পর অঙ্গদান, এ বার সচেতন শহরের মুখ সমর চক্রবর্তী

ওয়েব ডেস্ক: দমদমের বাসিন্দা সমর চক্রবর্তী পেশায় ছিলেন ব্যবসায়ী। দীর্ঘ অসুস্থতাকেড়ে নিয়েছিল তাঁর স্বাভাবিক কর্মদক্ষতা। শুধু কেড়ে নিতে পারেনি মুখের হাসি। পাড়ার লোকেরা বলছেন, সকলের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারতেন সমরবাবু। মৃত্যুর পর তাঁর অঙ্গ আরেকজনকে দেবে নতুন জীবন। এ কথা জেনে দুঃখের দিনেও খুশি দমদমের শরত্‍ বসু রোডের বাসিন্দারা।

২৭ জুন, ২০১৬  
স্ত্রী শোভনা সরকারের ব্রেন ডেথের পর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত  নেন রবীন্দ্রকুমার সরকার। তাঁর ইচ্ছে পূরণে এগিয়ে আসেন ছেলে প্রসেনজিত্‍ সরকার ও পুত্রবধূ সঙ্গীতা সরকার। শোভনা সরকারের দুটি কিডনি গুরুতর অসুস্থ দুই রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রতিস্থাপন করা হয় তাঁর দুটি কর্নিয়াও। 

১ মাস পর...এ বার সচেতন শহরের মুখ সমর চক্রবর্তী

সমর চক্রবর্তী। বয়স ৪৯। বাড়িতে স্ত্রী আর ন-বছরের ছেলে। দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা সমরবাবু কিডনির রোগে ভুগছিলেন। সোমবার ডায়ালিসিসের জন্য তাঁকে ILS-এ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সেরিব্রাল হেমারেজে জ্ঞান হারান তিনি। বাড়ির লোকেদের চিকিত্‍সকরা জানান, সমরবাবুর ব্রেন ডেথ হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সমরবাবুকে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য ILS থেকে অ্যাপেলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্য ভবন থেকেও চলে আসে সবুজ সংকেত। সমরবাবুর পরিবার অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় গর্বিত প্রতিবেশীরা। ব্রেন ডেথের পর অঙ্গদানে দ্রুত ছাড়পত্র মেলায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অ্যাপেলো হাসপাতালের চিকিত্সকরা। তাঁর পরিবারের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে সমর চক্রবর্তীর বাড়ির লোকেরা অঙ্গদানে এগিয়ে আসায় খুশি শোভনা সরকারের ছেলে প্রসেনজিত্‍ সরকারও। 

এতদিন ব্রেন ডেথের পর অঙ্গদানে চেন্নাই-দিল্লির থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল কলকাতা। শোভনা সরকারের পরিবার পথ দেখানোর পর এই শহরেও অঙ্গদানের প্রবণতা বাড়ছে। বাড়ছে গণ-সচেতনতা। কে বলে কলকাতার মন নেই!

.