Haridevpur Murder: ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরেই খুন, হরিদেবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার প্রেমিকার বাবা-সহ ৭
হরিদেবপুরকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরিকল্পনা মাফিক অয়ন মন্ডলকে খুন করা হয়। পুলিসের দাবি, অয়ন মন্ডল বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে তাকে দেখতে না পেলে বাদানুবাদ শুরু হয়। মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন অয়ন। ঝগড়া শুরু হতেই অয়নের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে প্রীতির ভাই।
পিয়ালি মিত্র: হরিদেবপুরের যুবকের দেহ পাওয়া গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে। এরপর থেকেই রহস্য ঘনীভূত হতে থাকে। অয়ন মণ্ডল নামে ওই যুবক দশমীর রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে মগরাহাট থানা এলাকায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ফোন করে অয়নকে বাড়িতে ডাকেন বান্ধবী প্রীতি জানা। বান্ধবীর বাড়িতেই অয়নকে বাঁশ, রড, ইট দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। কুঁদঘাট থেকে পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে আসা হয়। তবে মৃতদেহ দেখে চালক প্রথমে রাজি হচ্ছিলেন না। তাঁকে ২০০০টাকা দেওয়া হয়। পরিকল্পনা মাফিক অয়ন মন্ডলকে খুন করা হয়। আগেই বান্ধবী ও তাঁর মা–ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের জেরা করেই মেলে জড়িত আরও অনেকে। তখন বাবা এবং আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের এই বন্ধুকে আজ গ্রেফতার করে নিয়ে আসে পুলিস। ইতিমধ্যেই গাড়িটিও বাজেযাপ্ত করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন, Haridevpur Murder: সম্পর্কের টানাপোড়েনেই খুন? হরিদেবপুরকাণ্ডে মৃতের বান্ধবী-সহ গ্রেফতার ৩
পুলিসের দাবি, অয়ন মন্ডল বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে তাকে দেখতে না পেলে বাদানুবাদ শুরু হয়। মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন অয়ন। ঝগড়া শুরু হতেই অয়নের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে প্রীতির ভাই। সেখানেই মৃত্য়ু হয় অয়নের। পরে তরুণীর বাবার নির্দেশে বন্ধুর সাহায্যে মগরাহাটে দেহ ফেলে দিয়ে আসে। ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সম্পর্কের টানাপোড়েনের তথ্য উঠে আসছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। হরিদেবপুর কাণ্ডে গ্রেফতার প্রেমিকার বাবা সহ তিনজন। আগেই গ্রেফতার প্রেমিকা ও তার মা, ভাই। ধৃতদের মধ্যে প্রেমিকার ভাইয়ের দুই বন্ধু এবং পণ্যবাহী গাড়ির চালক। শুধু বান্ধবী প্রীতি নয়, তার মায়ের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল অয়নের। ত্রিকোণ টানাপোড়েনের জেরেই খুন করা হয়েছে ছেলেকে। হরিদেবপুরকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি অয়নের বাবার।
খুনের পরের দিন অয়নের বাড়িতে যায় প্রীতি। জানায় অয়ন নিখোঁজ। দাবি নিহতের মায়ের। বৃহস্পতিবার সকালে মগরাহাটের মাগুরপুকুরে অয়নের দেহ উদ্ধার করে পুলিস। দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহের ময়নাতদন্ত হয়। ভিডিয়োগ্রাফি হয় গোটা প্রক্রিয়ার। এর পর দেহের ছবি তুলে আসেপাশের থানায় পাঠানো হয়। পরে হরিদেবপুরকাণ্ডে মগরাহাটে কলকাতা পুলিসের দল। দুই অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ। মাগুর পুকুর এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হল নমুনা।
আরও পড়ুন, Dengue: উদ্বেগ বাড়িয়ে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত ২৫ হাজার ছুঁই ছুঁই, সংক্রমণে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা