Garfa Suicide: প্রথমপক্ষের ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ পছন্দ নয় দ্বিতীয় স্বামীর, ব্যাঙ্ককর্মী মায়ের মর্মান্তিক পরিণতি
২০১৭ সালে সোনু পন্ডিত নামে এক যুবকের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিয়ে হয় লিজার। লিজার অভিযোগ, বিয়ের করলেও সোনু তাঁকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেননি।

নিজস্ব প্রতিবেদন : মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসত ১০ বছরের ছেলে। পছন্দ ছিল না সৎ বাবার। তারপরই গড়ফায় (Garfa) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল ব্যাঙ্ক আধিকারিক (Bank Employee) মায়ের দেহ। মৃতার নাম লিজা মারি। উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড (Suicide) নোট। সুইসাইড নোটে অভিযোগের আঙুল দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর দিকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে।
গড়ফায় (Garfa) মহিলা ব্যাঙ্ক আধিকারিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু (Suicide)। গড়ফার গীতাঞ্জলি পার্ক এলাকার বাসিন্দা ছিলেন লিজা মারি। গড়ফার সেই ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয় ৩৬ বছরের লিজা মারির ঝুলন্ত দেহ। জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের করুণাময়ী শাখায় কর্মী ছিলেন লিজা। প্রথমে অরিজিৎ হাজরা বলে একজনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায়। লিজার প্রথমপক্ষের ১০ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বর্তমানে সে তার বাবার সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে থাকে।
এরপর ২০১৭ সালে সোনু পন্ডিত নামে এক যুবকের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিয়ে হয় লিজার। সোনু পুরনো গাড়ির কেনাবেচার ব্যবসা সঙ্গে যুক্ত। এখন মাঝেমধ্যে কলকাতায় মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসত লিজার প্রথমপক্ষের ছেলে। তা পছন্দ ছিল না সোনুর। পুলিস সূত্রের খবর, সোনু চাইছিল যে লিজা ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখুক। সেই নিয়েই বিভিন্ন সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত। সুইসাইড নোটে এমনটাই অভিযোগ করেছেন মহিলা।
ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও। পুলিস সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন লিজা। লিজার অভিযোগ, বিয়ের করলেও সোনু তাঁকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেননি। বিভিন্ন সময় অত্যাচার করতেন। জানা গিয়েছে, রবিবার সকালেও অশান্তি হয় দু’জনের। তারপর নিজের ঘরে চলে যান লিজা। সারাদিন এসি চালিয়ে ঘরেই ছিলেন। রাতে দরজা ভেঙে ঘর থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়।