দেবযানীকে ফাঁসানো হয়েছে, দাবি পরিবারের
দেবযানীর পরিবার দাবি করছে দেবযানীকে ফাঁসানো হয়েছে। যদিও আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের অনেকেই স্বল্প সময়ে দেবযানীর এই আর্থিক শ্রীবৃদ্ধিতে রীতিমতো আশঙ্কিত হয়েছিলেন। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, আত্মীয়-প্রতিবেশীদের কাছে যা বিস্ময়, তা কী করে চোখ এড়িয়ে গেল পরিবারের?
দেবযানীর পরিবার দাবি করছে দেবযানীকে ফাঁসানো হয়েছে। যদিও আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের অনেকেই স্বল্প সময়ে দেবযানীর এই আর্থিক শ্রীবৃদ্ধিতে রীতিমতো আশঙ্কিত হয়েছিলেন। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, আত্মীয়-প্রতিবেশীদের কাছে যা বিস্ময়, তা কী করে চোখ এড়িয়ে গেল পরিবারের?
আত্মীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, দেবযানীর বাবা কোনও চাকরি করতেন না। পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি দিয়েই তাঁদের সংসার চলত। কিন্তু সারদা গোষ্ঠীতে দেবযানী ঢোকার পরেই চিত্রটা বেশ কিছুটা বদলে যায়। বাবা-মা-বোনকে নিয়ে মাসিক ৯ হাজার টাকা ভাড়ায় হাজার স্কোয়ার ফিটের ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন দেবযানী। অ্যাডভান্স হিসেবে ফ্ল্যাটের মালিককে দেন ৩০ হাজার টাকা।
আটষট্টি বাই দুইয়ের দোতলার এই ফ্ল্যাটটি এখনও ছাড়েননি দেবযানীর পরিবার। এখনও প্রতি মাসে দশ হাজার টাকা ভাড়া দেন তাঁরা। পরে উঠে আসেন আটচল্লিশ নম্বর ঢাকুরিয়া স্টেশন রোডের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে। এখনও এই বহুতলেরই থ্রি এ এবং থ্রি বি দুটি ফ্ল্যাট নিয়ে থাকেন দেবযানীরা। যে দেবযানীর একটিও গাড়ি ছিল না, সেই দেবযানীর এই মুহূর্তে চারটি গাড়ি। শুধু তাই নয়, রীতিমতো বন্দুকধারী বডিগার্ড নিয়ে চলাফেরা করতেন দেবযানী।
ঢাকুরিয়া এলাকার বিখ্যাত হরিণবাড়ির মেয়ে দেবযানী। বাড়ির মেয়ের এই কাণ্ডে ক্যামেরার সামনে আসতে রাজি নন দেবযানীর কাকা-কাকিমা কেউই। কারণ, দেবযানী এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এটা এখনও অনেকের কাছেই দুঃস্বপ্নের মতো।