ফোনে মিলল সূত্র, 'পরকীয়া'র জেরেই কি খুন একবালপুরের নয়না? গ্রেফতার দম্পতি

শেখ সাজিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল সাবার। ধীরে ধীরে সেই বন্ধুত্ব সম্পর্কের দিকে গড়ায়।

Reported By: অর্ণবাংশু নিয়োগী | Updated By: Nov 22, 2020, 07:37 PM IST
ফোনে মিলল সূত্র, 'পরকীয়া'র জেরেই কি খুন একবালপুরের নয়না? গ্রেফতার দম্পতি
সাবা খাতুন (বাঁদিকে), শেখ সাজিদ (ডানদিকে)

নিজস্ব প্রতিবেদন : পরকীয়ার জেরেই কি খুন একবালপুরের যুবতী? তদন্তে ক্রমশ জোরালো হয়েছে সেই সম্ভাবনার কথা-ই। বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই খুন হতে হয়েছে নয়না ওরফে সাবা খাতুনকে। এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই একবালপুর খুনের ঘটনায় দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর শেখ সাজিদ ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জুম বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। খুনের ৪ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতার করল পুলিস। 

পুলিস সূত্রে খবর, নিহত যুবতী সাবা খাতুনের ফোন ঘেঁটে শেখ সাজিদ ওরফে রোহিতের নাম পায় পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে শেখ সাজিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল সাবার। ধীরে ধীরে সেই বন্ধুত্ব সম্পর্কের দিকে গড়ায়। অভিযোগ, এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে রোহিতকে ব্ল্যাকমেইল করত সাবা। যুবতী সাবার সঙ্গে স্বামীর 'পরকীয়া'র কথা জেনে ফেলেছিল শেখ সাজিদের স্ত্রী অঞ্জুম বেগম। এরপরই সাবাকে খুনের ছক কষে স্বামী-স্ত্রী। খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে শেখ সাজিদের নাম উঠে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। এরপরই খুনের ঘটনায় সরাসরি যোগ থাকার অভিযোগে দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিস। 

তবে রোহিত ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করলেও, এই খুনের ঘটনার পিছনে আর কেউ জড়িত কিনা, সে বিষয়েও খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে, পুলিস বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা বললেও, সাবার পরিবারের লোকজনের দাবি, রোহিতের সঙ্গে সাবার কোনও সম্পর্ক ছিল না। ওরা ২ জন শুধুমাত্র বন্ধু ছিল। ধৃত শেখ সাজিদ ওরফে রোহিত ও তার স্ত্রী অঞ্জুম বেগমকে গ্রেফতারির পর এদিন আলিপুর আদালতে পেশ করে পুলিস। ধৃতদের ১৩ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে একবালপুর থানার এমএম আলি রোডের উপর বস্তাবন্দি অবস্থায় ২২ বছরের যুবতী সাবা খাতুনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে এলাকায় নয়না নামে পরিচিত ওই যুবতীকে। জানা যায়, ওয়ারশি লেন এলাকায় রেশমা নামে এক বন্ধুর বাড়িতে গত ২ মাস ধরে থাকছিল সাবা। বুধবার বিকেলে বিরিয়ানি আনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় সে। তারপর সন্ধ্যা থেকেই তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মোবাইল ফোনও সুইচড অফ ছিল। পরে গভীর রাতে তার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। 

সবার প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারাই সাবা খাতুনের বস্তাবন্দি দেহ দেখতে পান। নিহত যুবতীর গলা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গাতেই আঘাতের চিহ্ন ছিল। আত্মীয়স্বজনদের কথায় জানা যায়, নেশা করার অভ্যাস ছিল নয়নার। দিনের বেশিরভাগ সময়ই নেশাগ্রস্থ থাকত ২২ বছরের ওই যুবতী। এমনকি পরিবারের তরফে তাকে মাস ছয়েক নেশামুক্তি কেন্দ্রেও রাখা হয়েছিল।

আরও পড়ুন, 'দলে থেকে দলীয় নেতাদের অসম্মান নয়', ঢিল মারলে এবার কি তবে পাটকেল খেতে হবে শুভেন্দুকে?

.