কাঠগড়ায় আলিপুরের নামজাদা হাসপাতাল
রোগীর মৃত্যুর পর ২ বছর কেটে গেছে। এখনও কেস রিপোর্টের অপেক্ষায় পরিবার। ১৭ লক্ষ টাকা চেয়ে চলছে ব্ল্যাকমেল। কাঠগড়ায় আলিপুরের নামজাদা হাসপাতাল। লাভপুরের ষষ্ঠীতলা। ফ্রেমে বন্দি বীরেন্দ্রনাথ দত্ত। সামনে দুই সন্তান। বীরেন্দ্রনাথ দত্তের ফ্রেমবন্দি ছবি শোনাচ্ছে আরও এক কুত্সিত গল্প।
ওয়েব ডেস্ক: রোগীর মৃত্যুর পর ২ বছর কেটে গেছে। এখনও কেস রিপোর্টের অপেক্ষায় পরিবার। ১৭ লক্ষ টাকা চেয়ে চলছে ব্ল্যাকমেল। কাঠগড়ায় আলিপুরের নামজাদা হাসপাতাল। লাভপুরের ষষ্ঠীতলা। ফ্রেমে বন্দি বীরেন্দ্রনাথ দত্ত। সামনে দুই সন্তান। বীরেন্দ্রনাথ দত্তের ফ্রেমবন্দি ছবি শোনাচ্ছে আরও এক কুত্সিত গল্প।
২০১৪ সালের সাতই ডিসেম্বর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয় তাঁর। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ধরা পড়লে চিকিত্সার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের নামজাদা নার্সিংহোমে। পরিবারের অভিযোগ, বীরেন্দ্রনাথ দত্তকে নিউরো মেডিসিন নয়, ভর্তি করা হয় জেনারেল ফিজিশিয়ানের অধীনে ৯০ দিন ধরে নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন বীরেন্দ্রনাথ দত্ত, তার মধ্যে ৫৫দিনই ICU-তে রেখে বিল বাড়ানো হয়।
খাবার দেওয়ার জন্য গলায় বিকল্প নালী তৈরি দেওয়া হয়, তাতে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। বিকল্প নালী তৈরিতে ভুল হওয়ায় ইনফেকশন হয়ে যায় বীরেন্দ্রনাথ দত্তের। গলার বিকল্প খাবারের নালী দ্বিতীয়বার বসাতে আবার ২০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। প্রতিদিন ২ চিকিত্সকের সাড়ে ৪ হাজার টাকার বিল মেটাতে হত পরিবারকে। দেখাশোনায় গাফিলতির জন্য বীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাতে আঘাত লেগে হাড় সরে যায় বলেও অভিযোগ।
পরিবারের অভিযোগ, অবস্থার অবনতি হলে পরিবারকে না জানিয়েই SSKM-এ স্থানান্তরিত করা হয় বীরেন্দ্রনাথকে। SSKM-এ স্থানান্তরের পর বেশিদিন বাঁচেননি বীরেন্দ্রনাথ। মৃত্যুর পর নতুন লড়াইয়ে তাঁর পরিবার। দুবছর ধরে কেস রিপোর্টের অপেক্ষা।
কেস রিপোর্ট দেওয়ার বিনিময়ে ১৭ লক্ষ ১১ হাজার টাকা চাইছে নার্সিংহোম। নার্সিংহোমের দাবি, বীরেন্দ্রনাথ দত্তের চিকিত্সার ওই বিল বাকি রয়েছে। প্রতিকার চেয়ে স্বাস্থ্যভবন এবং MCI-এর কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন আত্মীয়রা। স্বাস্থ্যভবনের লিখিত নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বীরেন্দ্রনাথ দত্তের কেস রিপোর্ট দিচ্ছে না নার্সিংহোম।