Mamata Banerjee: নজরে উত্তরবঙ্গ, চা শিল্পকে চাঙ্গা করতে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর!
Mamata Banerjee: ৬ চা বাগান ৩ বছরের জন্য লিজ দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'উত্তরবঙ্গে কিছু চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লোকেরা বিভ্রান্তিমূলক গুজব ছড়াচ্ছেন'। রাজ্য সরকারের চা পর্যটন শিল্পনীতির ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ঘোষণা, 'আমরা ৬ চা বাগান, যেগুলি কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য় বন্ধ ছিল। চলছিল হয়তো, কিন্তু কর্মীরা মাইনে পাচ্ছিল না। সেগুলিকে ৩ বছরের লিজ দিয়েছিল। তারা যদি ৩ বছরে লিজে সফলভাবে কর্মীদের জন্য সবকিছু করতে পারে, তাহলে আমরা ৩০ বছর লিজ দেব'।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'চা পর্যটন নীতি নিয়ে কেউ নানারকম.. বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে কিছু চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লোকেরা বিভ্রান্তিমূলক গুজব ছড়াচ্ছেন। কিছু ভুতুড়ে রাজনৈতিক দলও আছে। যাঁরা আসল ঘটনাটা বুঝতে পারেননি। চা বাগানের জমি কাউকে প্রি হোল্ড দেওয়ার নিয়ম নেই। লিজে থাকে। আইন যা ছিল, তাই-ই আছে। চা বাগানে যেখানে চা জন্মায়, সেটাকে কোনওভাবে ক্ষতি করা যাবে না। কিন্তু যেখানে চা জন্মাচ্ছে না, অথচ জমিটা পরে আছে। এগুলি সবই রাজ্য সরকার লিজ দেয়'।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'আমরা বলেছিলাম, ১৫ শতাংশ পর্যন্ত চা পর্যটনের জন্য দিয়েছিলাম। যাতে ওখানে হোটেল, হোম স্টে বা ব্যবসায়িক কিছু হলে স্থানীয় ছেলে মেয়েরা চাকরি পায়। ৮০ শতাংশ স্থানীয় লোককে নিতে হবে। পঞ্চাশ শতাংশ যেটা বলা হয়েছিল, সেটা হচ্ছে ১৫ একর জমি দেওয়া হয়েছে আগেই। এটা আগেও ছিল, কিন্তু কাজে লাগেনি। অনেক চা বাগান আছে, যেখানে না হয় চা,না হয় কোনও ব্যবসায়িক কাজকর্ম। আমরা সেখান থেকে জমি নিয়ে চা বাগানের শ্রমিকদের পাট্টা দিই। অনেক পাট্টা দেওয়া হয়েছে। এখনও ২৬ হাজার পাট্টা রেডি আছে'।
মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, 'চা চাষের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। চা জন্মে যদি কোনও বর্ধিত জমি থাকে, যে জমিতে চা হয় না বা পরে আছে। সেখান থেকে ব্যবসায়িক কাজ কর্ম করতে বলেছি। যাতে স্থানীয়রা কাজ পায় এবং পর্যটনের উন্নতি হয়'। বলেন, 'কাউকেই কিন্তু আমরা ৩০ একর দিচ্ছি না। তার আবার একটা শর্তও আছে। যদি কেউ চা বাগান চালু রেখে, ১৫ শতাংশ, যেটা তার কাছে আছে, সেখানে ব্যবসা করবে। স্থানীয় ছেলে মেয়েদের চাকরি দেবে। তারা যদি সফলভাবে করতে পারে, তবেই সেক্ষেত্রে চা জন্মানোটা ক্ষতি না করে যদি অতিরিক্ত জমি থাকে, যদি কেউ চায় ৩০ একর, যার আছে অনেক জমি, সেটা কেস টু কেস আমরা একটা SOP তৈরি করেছি'।
মুখ্য়মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, 'যদি কেউ অতিরিক্ত জমিতে ব্যবসা করে, চা বাগান বন্ধ করে পালিয়ে যায়. সরকার জমি ফিরিয়ে নেবে। চা বাগান কী করে চালু করতে হবে, সরকার দেখবে। চা বাগান চালু রাখলে তবে করতে দেব'।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)