মুখ্যমন্ত্রী না বলা সত্ত্বেও বাবুলকে উদ্ধারে ক্যাম্পাসে চলে যান রাজ্যপাল: তৃণমূল
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন রাজ্যপাল।

নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ সাড়া না দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আটক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধার করতে চলে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে রাজ্যপালের বক্তব্যও খণ্ডন করল শাসক দল।
তৃণমূল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে,''এটা দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করতে চলে যান রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারকে অবহিত না করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাদবপুর গিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যজনক একটা ঘটনা ঘটে বিজেপির ছাত্র সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে।রাজ্য পুলিশ বাইরে দাড়িয়ে ছিল। কিন্তু উপাচার্য সাহায্য না চাওয়ায় তারা ঢুকতে পারে নি। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই রাজ্যপাল রওনা হন বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে।''
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন রাজ্যপাল। তৃণমূলের দাবি, তাঁকে ক্যাম্পাসে না যাওয়ার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারকে একটু সময় দিতে আর্জি জানান। কিন্তু, রাজ্যপাল কোনও কথা না শুনে বিজেপি নেতাকে সাহায্য করতে পৌঁছে যান।
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিবৃতি জারি করেছে রাজ্যপালের অফিস। তার নিন্দা করেছে তৃণমূল। জানিয়েছে, এখানে টিএমসিপি বা পুলিশ জড়িত ছিল না। রাজ্য সরকার তাঁদের নিরাপদে বের করে এনেছে। আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ওঠাই উচিত নয়। এবিভিপির হাঙ্গামা নিয়ে কিছুই বলেননি রাজ্যপাল। আজ বিজেপি যা করেছে তা মনে করিয়ে দিচ্ছে, নির্বাচনের আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাণ্ডব। হিংসার রাজনীতিকে নিন্দা করার কোনও ভাষা নেই আমাদের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার এবিভিপির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি ক্যাম্পাসে ঢুকতেই চড়াও হয় ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। কোনওক্রমে অনুষ্ঠান করেন বাবুল। এরপর বাইরে আসার সময় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা। বাবুলের অভিযোগ, তাঁর চুল ধরে টানা হয়েছে। মারা হয়েছে কিল। বাবুলের নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ করেন ছাত্রছাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ আটক বাবুলকে হাত ধরে বের করে আনেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনখড়। তবে আচার্যের গাড়িও পড়েছিল বিক্ষোভের মুখে। পুলিসের তত্পরতায় ঘণ্টাখানেক আটক থাকার বেরিয়ে আসে কনভয়।
আরও পড়ুন- রাজ্যে সাংগঠনিক কাজকর্মের মাঝে ওস্তাদ রশিদ খাঁয়ের বাড়িতে অতিথি ভাগবত