এখনও নিখোঁজ ছন্দা- খারাপ আবহাওয়ায় তল্লাসিতে বাধা

খারাপ আবহাওয়ার জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘায় নিখোঁজ এভারেস্ট জয়ী ছন্দা গায়েনের খোঁজে তল্লাশি অভিযান বাধা পাচ্ছে৷ বিকেলের দিকে ফের তল্লাসির চেষ্টা করা হবে। রাজ্য সরকার পুরো তল্লাসি তদারকি করছে। এভারেস্টজয়ী ছন্দাকে খুঁজে পেতে সবরকম সাহায্য করছে নেপাল সরকার।

Updated By: May 22, 2014, 02:14 PM IST

View Larger Map

প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য ব্যাহত হচ্ছে নিখোঁজ ছন্দা গায়েনের তল্লাসির কাজ। ব্যবহার করা যাচ্ছে না হেলিকপ্টারও। নেপাল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে , বিকেলের দিকে আবহাওয়ার উন্নতি হলে তল্লাসির কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে।

রাজ্যের উদ্ধারকারী দল কিছুক্ষণের মধ্যেই কাঞ্চনজঙ্ঘা বেসক্যাম্পে পৌছে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পর্বতারোহী উজ্জ্বল রায়। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। বাড়িতে চরম উত্কন্ঠায় সময় কাটাচ্ছে ছন্দা গায়েনের পরিবার। আজই নিখোঁজ পর্বতারোহীর বাড়ি যাচ্ছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। সঙ্গে থাকবেন বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর আলুওয়ালিয়া।

এদিকে, শৃঙ্গ জয় করতে গিয়ে প্রকৃতির কোলে হারিয়ে গিয়েছে মেয়ে। চরম উত্‍কন্ঠায় সময় কাটছে ছন্দা গায়েনের পরিবারের। সোমবার থেকে বাড়ির একমাত্র মেয়ের কোনও খবর নেই। দুশ্চিন্তায় মানসিক ভাবে অস্থির হয়ে পড়েছেন মা। এরই মধ্যে আজ ছন্দার বাড়িতে যান রাজ্যের তিন মন্ত্রী।

ছন্দার মাকে ফোন করে তাঁর পরিবারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শৃঙ্গ জয়ের আনন্দ বদলে গিয়েছে বিষাদে। কোনার বাগপাড়ায় ছন্দা গায়েনের বাড়িতে এখন শুধুই দুশ্চিন্তা। সারা দিন অস্থির পায়চারি করছেন ছন্দার মা জয়া গায়েন। ফোন নম্বর খুঁজে খুঁজে ডায়াল করে যাচ্ছে ভাই জ্যোতির্ময়। কিন্তু বাড়ির একমাত্র মেয়েটার খোঁজ মিলছে না। ছবি থেকে শুরু করে শংসাপত্র, ট্রফি, অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মেয়েটার সব কিছুই জ্বলজ্বল করছে ঘরজুড়ে। শুধু খোঁজটাই যা মিলছে না।

ছন্দার কাঞ্চনজঙ্ঘা জয়ের খবর পেয়ে মঙ্গলবার তাঁর মাকে ফোন করেছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়। ছন্দা ফিরে এলে কৃষি বিপণন দফতরে তাঁকে চাকরি দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে আচমকা বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। বুধবার রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, অরূপ রায় এবং রাজীব ব্যানার্জি ছন্দার বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। ছন্দার মাকে ফোন করে সান্ত্বনা দেন মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁর ফোন পেয়ে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হন জয়াদেবী।

.