রাজ্য সরকারের অঙ্গুলিহেলনেই চলছে নির্বাচন কমিশন, পুনর্নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপের
''ওরা বিরোধী শূন্য রাজনীতি পছন্দ করে, পঞ্চায়েতেও তাই করেছিলেন।''
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য সরকারের অঙ্গুলিহেলনেই কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। দুই বুথে পুনর্নির্বাচন (Re-poll) নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি আরও বলেন, রাজ্যপালের সম্মান রাখতেই দুই বুথে পুনর্নির্বাচন করা হচ্ছে, কোথাও পুনর্নির্বাচন করার ইচ্ছে ছিল না। এদিন দিলীপ বাবুর কটাক্ষের সুরেই জানান, ''রাজ্যপাল যেহেতু ডেকে পাঠিয়েছিলেন তাই তাঁর সম্মান রক্ষার্থে এই দুটো জায়গায় করা হচ্ছে, নয়তো সেটাও করার ইচ্ছা ছিলনা। ওরা বিরোধী শূন্য রাজনীতি পছন্দ করে, পঞ্চায়েতেও তাই করেছিলেন। পুলিস ও নির্বাচন কমিশন সাহায্য করেছে।''
রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার (WB Municipal Election 2022) ভোটগ্রহণ ছিল রবিবার। আর ওই দিন রাজ্যের প্রায় সব প্রান্তেই ব্যাপক সন্ত্রাস ও বেনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধীরা। নির্বাচনের পরের দিন ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধও ডাকে পদ্মশিবির। তারপরেই রাজভবনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (state election commissioner) সৌরভ দাসকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। আর তাঁর সঙ্গে বৈঠক শেষ করে বের হওয়ার পরই ২ বুথে পুননির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার, শ্রীরামপুরের 25 নম্বর ওয়ার্ডের 7 নম্বর বুথে এবং দক্ষিণ দমদমের 33 নম্বর ওয়ার্ডের 4 নম্বর বুথে ওই পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। এদিন বিজেপির ডাকা বনধ নিয়ে বিজেপি নেতা জানান, নৈতিক ভাবে বনধ সমর্থন করে না বিজেপি। তবে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখেই এই বনধ ডাকতে হয়েছে বলে মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ''কলকাতাসহ সংলগ্ন অঞ্চলে বনধ সফল হয়নি। আমরা গায়ের জোরে বনধ করিনি। বাস জ্বালানো হয়নি, ট্রেন আটকানো হয়নি। বাম আমলে তৃণমূল এভাবে বনধ করত।''
প্রসঙ্গত, বাংলার ভোটে সন্ত্রাসের চেনা ছবি দেখা গিয়েছিল। বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত হন বিরোধী দলের প্রার্থী, এজেন্টরা। গুলি, বোমাবাজি কিছুই বাদ যায়নি। এমনকী, আক্রান্ত হন সাংবাদিকরাও। রাজ্যে ১০৮ টি পুরসভার ভোটে গতকাল প্রায় ১১ হাজার বুথে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন, Covid Restrictions: সংক্রমণ কমলেও এখনই উঠছে না বিধিনিষেধ, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের