২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ATM জালিয়াতরা, তদন্তে লালবাজার গোয়ন্দাবিভাগ

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে অনেকদিন ধরেই তারা কলকাতায় থেকে ছক কষেছে। এই কাজে কোনও এক্সপার্ট তাদের সাহায্য করেছে।       

Reported By: পিয়ালি মিত্র | Updated By: Jun 2, 2021, 05:42 PM IST
২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ATM জালিয়াতরা, তদন্তে লালবাজার গোয়ন্দাবিভাগ
প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতায় পর পর ঘটে যাওয়া ATM জালিয়াতিতে ২ কোটি টাকা হাপিস।   কলকাতার গোয়েন্দা প্রধান মূর্লিধার শর্মা জানিয়েছেন,  গত ৩ থেকে ৪ দিন ধরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক (ICICI) থেকে অভিযোগ আসে। তারা জানায় কিছু আনঅথারাইজড ট্রানজাকশন হচ্ছে।  এখনও পর্যন্ত নিউ মার্কেট, যাদবপুর, কাশিপুর, বউবাজার,ফুলবাগান, বেহালা ও বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্ক। 

এই ব্যাঙ্কের ATM গুলি হিতাচি নামে এক বেসরকারি সংস্থার তৈরি। তারাই মূলত রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকরে। মেশিন ট্যাম্পার করার বিষয়ে এই সংস্থাও লালবাজারে অভিযোগ জানিয়েছে। ১২ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে ATM-য়ে ঢুকে কোনওভাবে মেশিনের ক্ষতি না করে সফটওয়ার ট্যাম্পারিং করে টাকা তুলে নিয়েছে জালিয়াতরা। প্রসঙ্গত, এখানে কোনও সাধারণ মানুষের টাকা নেয়নি ওরা। ১০ লাখ , ৫ লাখ করে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।  মূলত, যে কোম্পানি ওই মেশিনে টাকা রিফিল করে তাদের টাকা লুঠ গিয়েছে। হুবহু এই একই ঘটনা ঘটেছে ফরিদাপুরেও। সেখানকার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে লালবাজার পুলিস।      

আরও পড়ুন: ফের শহরে ATM জালিয়াতি, অদ্ভুত মেশিন ব্যবহার করে লুঠ হচ্ছে লাখ লাখ টাকা

ঠিক কোন টেকনিক প্রয়োগ করে টাকা বের করা হয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। চালানো হচ্ছে ফরেন্সিক পরীক্ষা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে অনেকদিন ধরেই তারা কলকাতায় থেকে ছক কষেছে। এই কাজে কোনও এক্সপার্ট তাদের সাহায্য করেছে।       

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, শহরে পর পর ঘটে যাওয়া ATM জালিয়াতির ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি শাখা। পুলিস সূত্রে খবর, ৩৫ বার ট্রানজাকশন করা হয়েছে কাশিপুরের ATM থেকে | দীর্ঘ CCTV ফুটেজ ঘেটে দেখে অপারেশনে সন্দেহ করা হয়েছে  ৩ জনকে।  

 

যাদের সন্দেহ করা হচ্ছে তাদের মধ্যে একজন মাস্ক  পড়েছিল, ১ জন এর মাথায় টুপি ছিল | সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে ATM স্ক্রিন  খুলে ডিভাইস রেখে টাকা তুলে নিচ্ছে তারা। আবার বেরোনোর সময় খুলে নিচ্ছে, তাদের গ্যাজেট |  সন্দেহ যাতে না হয় তার জন্য ফের জালিয়াতরা সেই ATM-য়ে ঢোকে কিছুক্ষণ  পর |  এভাবে প্রায় ৩৫ বার  ট্রানজাকশন করে  টাকা তুলে নেয় জালিয়াতরা |  যে দক্ষতার সঙ্গে তারা কাজ চালাছে তা দেখে অনুমান করা যাচ্ছে রক্ষনাবেক্ষন করে বা মেশিন বানায় যারা বা যারা টাকা ভরতে আসে ATM-য়ে  তাঁদের মধ্যেও কেউ যুক্ত হতে পাড়ে |  ব্যাঙ্ক, রক্ষণাবেক্ষণ ও লোডিং  যে সংস্থা  করে তাদের মধ্যে গত ৫ বছরের  প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মীদের তালিকা চেয়েছে লালবাজার।     

.