'বর্তমান রাজনৈতিক ভাবনা' থেকে সুভাষ-সঙ্গী আবিদ হাসানকে মরণোত্তর নেতাজি সম্মান
১৯৪১ সালে সুভাষচন্দ্র বসু জার্মানিতে পৌঁছলে ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে আবিদের।

মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে এবার মরণোত্তর নেতাজি সম্মান দেওয়া হচ্ছে তাঁর দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী আবিদ হাসান সফরানিকে (Abid Hasan)। মঙ্গলবার এ কথা জানান নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর অধিকর্তা সুগত বসু (Sugata Bose)। তিনি বলেন,'আমাদের মনে হয়েছে, আবিদ হাসানকে সম্মান জানানোর এটাই আদর্শ সময়। নেতাজি যে সাম্যের কথা বলতেন, সেটা তুলে ধরতে এই সিদ্ধান্ত। সেই ভাবনা থেকে আবিদ হাসানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি আমরা। ২৩ জানুয়ারি তাঁর আত্মীয়া ইসমত মেহেদি হায়দরাবাদ থেকে এই সম্মান গ্রহণ করবেন।'
কে এই আবিদ হাসান? হায়দরাবাদের যুবক আবিদ হাসান সফরানি (Abid Hasan), জার্মানিতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে বন্ধ হয় ঘরে ফেরার পথ। ১৯৪১ সালে সুভাষচন্দ্র বসু (Subhash Chandra Bose) জার্মানিতে পৌঁছলে ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে আবিদের। নেতাজি ইউরোপ থেকে ডুবোজাহাজে এশিয়ার উদ্দেশে যাত্রায় লেগেছিল ৯০ দিন। যাত্রাপথে একমাত্র ভারতীয় সঙ্গী ছিলেন আবিদ হাসান। এর পাশাপাশি, সিঙ্গাপুর এবং রেঙ্গুনেও নেতাজির ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন আবিদ। ইম্ফলে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সুগত বসু মনে করিয়ে দেন,'উনি নেতাজির শেষদিন পর্যন্ত সঙ্গে ছিলেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। একাধিক দেশে ভারতের হয়ে কূটনীতিকের দায়িত্ব সামলেছেন।'
প্রসঙ্গত, ভারতের জাতীয় সঙ্গীত “জন গন মন” হিন্দিতে মুমতাজ হোসেন যখন “সব সুখ চেইন” লিখছেন তখন তাঁর সঙ্গে সখ্যতা ছিল আবিদ হাসানের। ১৯৬৩-তে নেতাজি ভবনে এসে তাঁর কাছে বন্ধু দিলীপকুমার রায় গেয়েছিলেন,'জানি না বন্ধু তোমায় কী নামে করব বরণ'। সেই গান দিয়েই সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীর উদযাপনের সূচনা হবে নেতাজি ভবনে।
আরও পড়ুন- BJP মাওবাদীদের থেকেও ভয়ঙ্কর: Mamata; মাওবাদী এনে ক্ষমতায় এসেছিল, বিসর্জন হবে: Dilip