ওভেন থেকে বেরনো মাইক্রোওয়েভ ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ
ব্যস্ত জীবনে পাতে গরম খাবারের ফুরসত নেই। তাই ভরসা মাইক্রোওভেন। গবেষণা বলছে, মাইক্রোওয়েভের এই ভয়ঙ্কর রেডিয়েশনে গরম করা খাবার থেকেই ছড়াচ্ছে জটিল রোগ। বাড়ছে বিপদ। জেট গতির জীবন। ২৪ ঘণ্টাই কাজ। নাওয়াখাওয়ার সময় নেই। সময় নিয়ে গুছিয়ে রান্না? সে তো বিলাসিতা। সময়কে হারিয়ে দেওয়ারই যেন এক অদৃশ্য প্রতিযোগিতা চলছে।
ওয়েব ডেস্ক: ব্যস্ত জীবনে পাতে গরম খাবারের ফুরসত নেই। তাই ভরসা মাইক্রোওভেন। গবেষণা বলছে, মাইক্রোওয়েভের এই ভয়ঙ্কর রেডিয়েশনে গরম করা খাবার থেকেই ছড়াচ্ছে জটিল রোগ। বাড়ছে বিপদ। জেট গতির জীবন। ২৪ ঘণ্টাই কাজ। নাওয়াখাওয়ার সময় নেই। সময় নিয়ে গুছিয়ে রান্না? সে তো বিলাসিতা। সময়কে হারিয়ে দেওয়ারই যেন এক অদৃশ্য প্রতিযোগিতা চলছে।
মাইক্রোওভেন আধুনিক জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ওতপ্রোতভাবে। অফিসে যাওয়ার সময় বা অফিস থেকে ফিরে মাইক্রোওভেনই ভরসা। পাশে গ্যাস থাকলেও হ্যাপা নেওয়ার রাস্তায় হাঁটতেই চায় না মানুষ। নামমাত্র সময়ে রান্না করে নেওয়া বা খাবার গরম করার হাতে গরম সলিউশন রয়েছে যে। আর সেই সলিউশনই যে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছে, রাখেন কি তার খবর?
ওভেন থেকে বেরনো মাইক্রোওয়েভ ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ। অতিরিক্ত তাপে অল্প সময়েই খাবার গরম হয়ে যাচ্ছে বটে, কিন্তু সেই খাবারই আপনার শরীরকে তিলে তিলে নিয়ে যাচ্ছে কঠিন অসুখের দিকে। দীর্ঘদিন সেই খাবার খেতে থাকলে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিতে পারে। এমনকী ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।
মাইক্রোওয়েভ মানে এক তীব্র বিকিরণ। ক্রমাগত মাত্রাতিরিক্ত তাপ প্রবাহিত হওয়া। চারপাশে আবদ্ধ একটা জায়গায় সেই তাপে খাবার খুব অল্প সময়েই গরম হয়ে যায়। মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করে ঠিক যেটা চাই আমরা। অত্যধিক তাপে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা খাবারে বারবার ব্যাকটিরিয়া জন্মায়। প্রোটিন, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কমতে থাকে।
মাইক্রোওয়েভে গরম করা এই খাবারের ভয়ঙ্কর বিপদের ইঙ্গিত মিলেছে রাশিয়া, জার্মানি ও সুইত্জারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানীর সাম্প্রতিক গবেষণায়। মাইক্রোওভেনে গরম করা খাবার কমিয়ে দেয় কোলেস্টেরল। এই খাবারে BPA গ্রো করে। তা থেকে হরমোনের স্বাভাবিক ক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়। বন্ধ্যত্ব পর্যন্ত ঘটাতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ে। দীর্ঘদিন এই খাবার খাওয়ার ফলে মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। অ্যালার্জি হতে পারে। ব্লাড প্রেশারের মাত্রা বেড়ে যায়। মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। পাকস্থলী ও অন্ত্রে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। স্মৃতিশক্তি নষ্ট করতে পারে। সুতরাং সাবধান। সতর্ক হোন এখনই।