টলিউডের অভিনেত্রীর অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান

খোঁজ মিলছে না মেয়ের। মোবাইলে যোগাযোগ করলে শুধু শোনা যাচ্ছে মেয়ের কান্নার আওয়াজ। আতঙ্কিত হয়ে এক টলিউড অভিনেত্রীর মা, মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন কড়েয়া থানায়। অভিনেত্রীর অন্তর্ধানের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় পুলিস মহলে। সুরাহা না হওয়ায় চব্বিশ ঘণ্টার দফতরে বিষয়টি এসে জানান মা বাণী সেনগুপ্ত। ২৪ ঘণ্টার দফতরেই কাটল অভিনেত্রী অন্তর্ধান রহস্যের জাল। জানা গেল অভিমানেই মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন টলিউড অভিনেত্রী সুদর্শনা সেনগুপ্ত।

Updated By: Oct 28, 2013, 07:30 PM IST

খোঁজ মিলছে না মেয়ের। মোবাইলে যোগাযোগ করলে শুধু শোনা যাচ্ছে মেয়ের কান্নার আওয়াজ। আতঙ্কিত হয়ে এক টলিউড অভিনেত্রীর মা, মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন কড়েয়া থানায়। অভিনেত্রীর অন্তর্ধানের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় পুলিস মহলে। সুরাহা না হওয়ায় চব্বিশ ঘণ্টার দফতরে বিষয়টি এসে জানান মা বাণী সেনগুপ্ত। ২৪ ঘণ্টার দফতরেই কাটল অভিনেত্রী অন্তর্ধান রহস্যের জাল। জানা গেল অভিমানেই মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন টলিউড অভিনেত্রী সুদর্শনা সেনগুপ্ত।
বিস্কুট, শাড়ি, সোনার গয়না, জুতোর একাধিক বিজ্ঞাপণের পরিচিত মুখ। নাম সুদর্শনা সেনগুপ্ত।
সিরিয়াল ছাড়াও একটি বাংলা এবং কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষার ছবিতে অভিনয় করেছেন।
মা ও ভাইয়ের সঙ্গে বাগুইআটিতে থাকতেন সুদর্শনা। কিন্তু দুহাজার এগারোর জানুয়ারিতে দেবরূপ সেন নামে টলিউডের এক পরিচালকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। পরে ওই পরিচালকের বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের ফ্ল্যাটে লিভ টুগেদার শুরু করেন সুদর্শনা।
বানীদেবীর অভিযোগ, কিছুদিন পরই মেয়ে জানায় দেবরূপ প্রমোটিংয়েরও কাজ করেন। বাগুইআটির ফ্ল্যাটটি বিক্রির জন্য মাকে চাপ দিতে থাকেন মেয়ে। কথা হয়, দেবরূপের জায়গায় প্রস্তাবিত একটি আবাসনে ফ্ল্যাট পাবেন বাণী দেবী। সেইমত নাকি ১৭ লক্ষ টাকায় ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেবরূপের হাতে টাকা তুলে দেন বলে দাবি বানী দেবীর। কিন্তু ভুল ভাঙে কিছুদিন পরই। ততদিনে মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কেরও অবনতি হয়েছে মায়ের।
১১ অক্টোবর রাতে মেয়ের মোবাইল থেকে ফোন পান বাণী দেবী। কেবল মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনতে পান তিনি। এরপরই লালবাজারে যোগাযোগ করেন বাণী দেবী। লালবাজার থেকে প্রথমে বালিগঞ্জ থানা ও পরে কড়েয়া থানায় ফোন যায়। অভিনেত্রীর অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে পুলিস মহলেও তোলপাড় পড়ে যায়। কড়েয়া থানার পুলিস পরিচালকের বাড়িতে গিয়েও সুদর্শনার খোঁজ পাননি।
পুলিসের ভূমিকায় হতাশ হয়ে শেষ পর্যন্ত সোমবার ২৪ ঘণ্টার দফতরে আসেন বাণী দেবী। মেয়ের খোঁজ পেতে উতলা হয়ে ওঠে মায়ের মন।
এরপরই অভিনেত্রী অন্তর্ধান রহস্যে যবনিকা উদ্ঘাটনে নামি আমরা।সুদর্শনার মোবাইলে ফোন করেন ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি। ফোনে সুদর্শনা জানান মায়ের ওপর অভিমান করেই তিনি কোনও যোগাযোগ করেননি।ফোনে মেয়ের এমন প্রতিক্রিয়ায় দৃশ্যতই ভেঙে পড়েন মা।

.