অঙ্কিতার ফ্ল্যাটের EMI দিচ্ছিলেন সুশান্ত! রিয়ার দাবি কি সত্যি?
অঙ্কিতার মালাড-এর ফ্ল্যাটের ইএমআই -এর টাকা জীবিত থাকাকালীন দিয়ে চলেছিলেন সুশান্ত। তবে সত্যিই কি তাই?
নিজস্ব প্রতিবেদন: রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্ত শুরু করেছে ইডি। রিয়াকে জেরায় জানা গিয়েছে, অঙ্কিতার মালাড-এর ফ্ল্যাটের ইএমআই -এর টাকা জীবিত থাকাকালীন দিয়ে চলেছিলেন সুশান্ত। তবে সত্যিই কি তাই?
'ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদনে উঠে আসে ইডির প্রশ্নে বিদ্ধ রিয়া জানান, সুশান্ত অঙ্কিতার মালাডের ফ্ল্যাটের ইএমআই দিচ্ছিলেন। ইডির তরফে সুশান্তের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪.৫ কোটি টাকা ইএমআই হিসাবে কাটা হচ্ছিল। তবে শেষ কয়েকটি ইএমআই বাকি রয়ে গিয়েছে। রিয়া ইডিকে জানান, অঙ্কিতার ফ্ল্যাটের ইএমআই দেওয়া সত্ত্বেও তাঁকে উঠে যেতে বলতে পারছিলেন না সুশান্ত। রিয়ার কথা অনুযায়ী সুশান্ত যে ফ্ল্যাটের ইএমআই দিচ্ছিলেন, আর অঙ্কিতা যে ফ্ল্যাটে থাকেন সেই দুটো একই ফ্ল্যাট।
তবে স্কোয়ারফিট ইন্ডিয়ার তরফে দাবি করা হয়েছে, সুশান্ত ও অঙ্কিতা আদপে মালাডের একই বিল্ডিয়ে পাশাপাশি দুটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। দুটি ফ্ল্যাটের কার্পেট এরিয়া ৬৮৩। এর মধ্যে ৪০৩ নম্বর ফ্ল্যাটটি সুশান্তের এবং ৪০৪ নম্বর ফ্ল্যাটটি অঙ্কিতার। ২০১৩ সালের ১০ মে একইসঙ্গে একই দিনে তাঁর ফ্ল্যাট দুটি বুকিং করেছিলেন। স্ট্যাম্প ডিউটি সহ সুশান্ত ও অঙ্কিতা ৬.৭৫ লক্ষ টাকা বুকিংয়ের সময় দিয়েছিলেন। তবে পরে দুটি ফ্ল্যাটের মাঝের দেওয়ার ভেঙে ফেলে একটি ফ্ল্যাট করে ফেলা হয়। তবে সুশান্ত তাঁর নিজের ফ্ল্যাটটি ইএমআই দিচ্ছিলেন বলেই জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, স্কোয়ারফিট ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে রিয়ার দাবি মিথ্যা। প্রসঙ্গত, সুশান্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বহুদিন তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগই ছিল না। যদিও পুরো বিষয়টিই এখন ইডি-র তদন্ত সাপেক্ষ।
আরও পড়ুন-বিস্ফোরক তথ্য! অঙ্কিতার ফ্ল্যাটের ৪.৫ কোটি টাকা ইএমআই দিচ্ছিলেন সুশান্ত!