খলজি হতে ২১ দিন অন্ধকার ঘরে বন্দি ছিলেন রণবীর

খলজির এই পাগলাটে, হিংস্র, ভয়নক, ঘৃণ্য, নৃশংস খলজির এই সবকটি রূপই অসামান্য দক্ষতায় চরিত্রটা অসামান্য দক্ষতায়  ফুটিয়ে তুলেছেন তিনিই।  গোটা সিনেমায় রণবীরের খলজি রূপের পৈশাচিক নাদ শুনলে দর্শকদের গায়ে কাঁটা দেবে। এককথায় তাঁর অভিনয় অনবদ্য বললেও কম বলা হবে।

Updated By: Jan 28, 2018, 04:08 PM IST
খলজি হতে ২১ দিন অন্ধকার ঘরে বন্দি ছিলেন রণবীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : খলজি, খলজি, আর খলজি। 'পদ্মাবত' যাঁরা ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন তাঁদের মুখে সবথেকে বেশি উঠে এসছে এই একটিই চরিত্র। আলাউদ্দিন খলজির হিংস্র, উন্মাদ, রাক্ষুসে এই চরিত্রটিই সবথেকে বেশি দাগ কেটেছে সিনেমাপ্রেমীদের মনে। বলা ভালো নজর কেড়েছেন রণবীর সিং। কারণ, খলজির এই পাগলাটে, হিংস্র, ভয়নক, ঘৃণ্য, নৃশংস খলজির এই সবকটি রূপই অসামান্য দক্ষতায় চরিত্রটা অসামান্য দক্ষতায়  ফুটিয়ে তুলেছেন তিনিই।  গোটা সিনেমায় রণবীরের খলজি রূপের পৈশাচিক নাদ শুনলে দর্শকদের গায়ে কাঁটা দেবে। এককথায় তাঁর অভিনয় অনবদ্য বললেও কম বলা হবে।

কিন্তু রণবীর সিং কীভাবে হয়ে উঠেছিলেন আলাউদ্দিন খলজি ? 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রণবীর নিজেই জানিয়েছেন সেকথা।  রণবীরের কথায়, ''আমি গোড়েগাঁও-এর বাড়িতে টানা ২১দিন গৃহবন্দি ছিলাম। এসময় আমি সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। এই পুরো সময়টা আমি ওয়ার্কশপ করেছি। ধীরে ধীরে আমি নিজেকে খলজির মতো করে তৈরি করেছি। প্রথমে কিছুতেই আমি খলজির মতো এতটা ধান্দাবাজ, লোভী উচ্চাকাঙ্খী একটা চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে কিছুতেই মেলাতে পারছিলাম না। এই ভয়ানক অভিজ্ঞাতা, খলজি যেভাবে পৃথিবীটাকে দেখে আমি তো সেভাবে ভাবেতেই পারি না। আমি ধীরে ধীরে এই চরিত্রের মধ্যে প্রবেশ করেছি। তারপর শরীরচর্চা, গলার স্বর সবকিছুই তৈরি করছিলাম। আর তারপর যখন শেষমেশ শ্যুটিং শুরু হল তখন সেটে সবকিছু বনশালির উপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। তারপর উনি যেভাবে চরিত্রটাকে তৈরি করতে চেয়েছেন আমি সেভাবেই কাজ করেছি। কারণ এই চরিত্রটা সম্পর্কে আমার থেকেও বেশি উনি জানেন। পুরো কৃতিত্বটাই ওনার।''

পাশাপাশি 'বলিউড লাইফ'-কে দেওয়া আরও একটি সাক্ষাৎকারে রণবীর শেয়ার করেছেন শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা। তাঁর কথায় ''শ্যুটিংয়ের সময় শারীরিক ভাবে অনেক ধকল গেছে। বিভিন্ন ঘটনার কারণে শ্যুটিং শুরু হতে দেরি হয়েছিল তাই পর পর শ্যুটিংয়ের ডেট পরে। প্রথমদিন হয়ত শ্যুটিংয়ে অনেক চিৎকার করতে হয়েছে। তো পরের দিনই আবার অ্যাকশন সিকোয়েন্সের শ্যুট। 'খালবলি' নাচের সময় হাঁটুটাকে আমার জেলির মতো মনে হচ্ছিল। যেন কোনও জোর পাচ্ছিলাম না। অ্যাকশন সিন শ্যুট করার সময় মনে হচ্ছিল  আমি বোধহয় অজ্ঞান হয়ে যাব। পাশে গিয়ে বমি করছিলাম। তারপর আবার শ্যুটিং শুরু করে দিচ্ছিলাম। সাধারণত শ্যুটিংয়ের মাঝে ৭-৮ দিনের ফাঁক থাকে। আমি সেটা পাইনি। ''

 আরও পড়ুন-  নাম বদলে 'পদ্মাবতী' হতেই পারত 'খলজি'

.