মানুষ লাল থেকে সবুজ, গেরুয়া হলে আমারও মত পাল্টানোর অধিকার রয়েছে: রুদ্রনীল
রং বদলাচ্ছেন রুদ্রনীল? সোশ্যাল মিডিয়াতেও এমন প্রশ্ন তুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানান মিম।
![](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/styles/zm_98x58/public/2019/01/29/172472-ranita871263.jpg?itok=mVeYazYP)
![মানুষ লাল থেকে সবুজ, গেরুয়া হলে আমারও মত পাল্টানোর অধিকার রয়েছে: রুদ্রনীল মানুষ লাল থেকে সবুজ, গেরুয়া হলে আমারও মত পাল্টানোর অধিকার রয়েছে: রুদ্রনীল](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/01/14/301770-454353564654654654.jpg)
রণিতা গোস্বামী: টলিপাড়া থেকে রাজনৈতিক মহল জোর জল্পনা, বিজেপিতে ঝুঁকছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। সম্প্রতি রুদ্রনীলের জন্মদিনে ফুল নিয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। আর এরপরেই তাঁর বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনা আরও তীব্র হয়। রং বদলাচ্ছেন রুদ্রনীল? সোশ্যাল মিডিয়াতেও এমন প্রশ্ন তুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানান মিম।
এমনই একটি মিম নিয়েই বুধবার Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে। কী বললেন তিনি? রুদ্রনীল ঘোষের কথায়, ''কেউ মিম বানাতেই পারেন। সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা। আমি কোনওদিন তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে যোগ দিইনি। যাঁরা এমন বলছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই কিন্তু ২০১১ থেকে একবার লাল, একবার সবুজ আবার লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়াতেও ভোট দিয়েছেন। আসলে তো মানুষ ভালো থাকতে চায়, যে কারণেই এক সরকার বদলে তাঁরা অন্য সরকার আনেন। তাঁর কী পাচ্ছেন, আর কীসে প্রতারিত হচ্ছেন, তার ভিত্তিতে তাঁরা মত দেন। সাধারণ মানুষের যদি মত বদলানোর অধিকার থাকে, তাহলে আমার থাকবে না কেন?''
রুদ্রনীল আরও বলেন, ''২০১৪ সাল থেকে আমাকে সরকারের তরফে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার তো কোনও রাজনৈতিক দল নয়। তাহলে IAS, IPS অফিসারও তো সরকারের হয়ে কাজ করে। তাঁরা কি তবে রাজনৈতিক দলেন কর্মী? একটু ভেবে দেখুন, যখন আমি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজ করেছি, তখন থেকেই আমি বিভিন্ন ভুলের প্রতিবাদ জানিয়েছি। প্রশ্ন তুলেছি। মন্ত্রীদের সঙ্গে ঝগড়াও করেছি। তখন কিন্তু আমায় কেউ গেরুয়া বলেননি। কারণ তখন গেরুয়া দাপট শুরু হয়নি। যেই কাটমানি নিয়ে মুখ খুললাম, তখনই বলা হল আমি গেরুয়া। ২০১৭ সাল থেকে আমি তৃণমূল সরকারের কোনও অনুষ্ঠানেই যাইনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা চিরকাল থাকবে। তবে আমার মনে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যেটা চাইছেন, তাতে তাঁর দলেরই একাংশ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে উনি নিজেই তো কাটমানি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আসলে সরকার আসে মানুষের পেটে ভাট দিতে, সেই চালই যদি চুরি হয়, মানুষ তখন রং বদলান। সরকার বদলে দেন। এটা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। মানুষ সমর্থন পাল্টাতে পারেন, আমি পাল্টালে সমস্যা কোথায়?''
তাঁর জন্মদিনে বিজেপি নেতার তরফে আসা শুভেচ্ছা প্রসঙ্গে রুদ্রনীল বলেন, ''আমার জন্মদিনে তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপি সবাই ফুল পাঠিয়েছে।'' বিজেপির তরফে কোনও প্রস্তাব এলে তিনি কী করবেন? এ প্রশ্নে রুদ্রনীল বলেন, ''তাহলে আমি নিশ্চয়ই ভাববো। কারণ, আমি রাজনৈতিকভাবে সচেতন। আমার বন্ধুরা মিমি, নুসরত, দেব কিংবা লকেট চট্টোপাধ্যায় নিজের পেশার পাশাপাশি মানুষের হয়ে কাজ করার চেষ্টা করছেন। আমি সেটা সম্মান করি। আমি আমার দলকে সমর্থন করছি বলে অন্যদের ছোট করব, সেটা শিশুদের মত কাজ। আমি বরাবরই মানুষের হয়ে কাজ করতে চাই। মানুষ যেভাবে পরিস্থিতি বিচার করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেন, আমিও সেভাবেই নেব।''