জেলা থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চ, ফেস্টিভালে জায়গা করে নিল অভ্রদ্বীপের ছবি
দেড় বছর ধরে দেশ ও বিদেশের ১০০টা লোকশনে ১০০ জন কলাকুশলীদের নিয়ে মিক্স মিডিয়ায় শ্যুট করা হয়েছে এই ছবিটি। ছবির বিষয়- নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক।
![জেলা থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চ, ফেস্টিভালে জায়গা করে নিল অভ্রদ্বীপের ছবি জেলা থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চ, ফেস্টিভালে জায়গা করে নিল অভ্রদ্বীপের ছবি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/11/12/154733-ghatak.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: মফস্বল থেকে মহানগর। এবারে জেলা উঠে এল আন্তর্জাতিক আঙিনায়। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে জায়গা করে নিল জলপাইগুড়ির অভ্রদ্বীপ ঘটকের ছবি "আনন্দধারা রিলোডেড’। ১৫ তারিখ বেলা ১১ টায় দেখানো হবে অভ্রদ্বীপের ছবি। এই খবর সামনে আসতেই স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত জেলার সাংস্কৃতিক মহল।
দেড় বছর ধরে দেশ ও বিদেশের ১০০টা লোকশনে ১০০ জন কলাকুশলীদের নিয়ে মিক্স মিডিয়ায় শ্যুট করা হয়েছে এই ছবিটি। ছবির বিষয়- নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক।
আরও পড়ুন- ঘরের লোকেরাই পিছন থেকে ছুরি মারছে, বিস্ফোরক দেব
জলপাইগুড়ি স্টেশন রোডের এক চিলতে ঘরেই ২০০৪ সাল থেকে ছবি বানানোর কাজ শুরু। ২০১৬ সাল থেকে আসতে থাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এখনও পর্যন্ত ক্যালিফর্নিয়া, রাশিয়া,অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, সহ ৭টি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভালে দেখানো হয়েছে অভ্রদ্বীপের তৈরি ৫টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি।
অভ্রদ্বীপের কাছে আমাদের প্রশ্ন ছিল গত ৩ বছরে বহু আন্তর্জাতিক ফেস্টিভালে তাঁর ৫টি ছবি দেখানো হয়েছে। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভাল নিয়ে এত উচ্ছ্বাস কেন? অভ্রদ্বীপ জানায়, “২০০৪ সাল থেকে আমি কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভালের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তখন আমি ফেস্টিভাল কমিটির প্রচার বিভাগে ছিলাম। রাত জেগে পোস্টার, ব্রোশিওর তৈরি করতাম। এবারে আমার ছবি এখানে দেখানো হবে তাই আমি-সহ আমার বন্ধুরা এত উচ্ছ্বসিত। এছাড়া এতদিন বিভিন্ন দেশে আমার ছবি দেখানো হয়েছে কিন্তু সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম না। তাই পাবলিক রিয়েকশন উপভোগ করতে পারিনি। এবারে সেই সুযোগ আছে। সিনেমা দেখার পর মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাঁদের ভালো বা মন্দ লাগা জানতে পারবো”।
পরিচালক অভ্রদ্বীপ আরও জানায়, “আমাদের জেলার নতুন প্রজন্ম খুব ভালো কাজ করছে। কিন্তু পরিকাঠামোর খামতির জন্য সবাই ছবি বানানো শুরু করলেও শেষ করতে পারে না। তাই আমি চাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় জলপাইগুড়িতে রূপকলা কেন্দ্রের ধাঁচে একটি কেন্দ্র গড়ে উঠুক”।