Ankush Hazra : 'কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাই না, তবে অযোগ্য লোককে বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম...'
'নেক্সজেন ভেঞ্চার্স'-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এগিয়েছিলেন 'মির্জা' বানানোর কাজে। তবে নাহ, শুরুতেই মতোবিরোধ। আর সেকারণেই 'নেক্সজেন ভেঞ্চার্স'-এর থেকে আলাদা হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে 'অঙ্কুশ হাজরা মোশন পিকচার্স'। আর একথা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন অঙ্কুশ। ঠিক কী হয়েছে? কোথায় সমস্যা? এনিয়ে নানান প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু কী বলছেন অঙ্কুশ?
Ankush Hazra, Mirza, জি ২৪ ঘন্টা ডিজিট্যাল ব্যুরো : 'নেক্সজেন ভেঞ্চার্স'-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এগিয়েছিলেন 'মির্জা' বানানোর কাজে। তবে নাহ, শুরুতেই মতোবিরোধ। আর সেকারণেই 'নেক্সজেন ভেঞ্চার্স'-এর থেকে আলাদা হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে 'অঙ্কুশ হাজরা মোশন পিকচার্স'। আর একথা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন অঙ্কুশ। ঠিক কী হয়েছে? কোথায় সমস্যা? এনিয়ে নানান প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু কী বলছেন অঙ্কুশ?
Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে অঙ্কুশ জানান, 'আমরা সবসময়ই চেষ্টা করি নতুন প্রযোজক, পরিচালকরা আসুক। বাংলা ছবির ক্ষেত্রে ভালো কিছু হোক। যখন কেউ সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আসছেন তখন সবাইকে সুযোগ দেওয়া উচিত। তবে এসবের মাঝে কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য, সেটা প্রথমে বোঝা যায় না। এমন অনেক স্বামী-স্ত্রীও আছেন, যাঁরা দীর্ঘ ২২-২৩ বছর একসঙ্গে থেকেও একে অপরকে চিন্তে পারেন না বলে দাবি করেন। সেভাবেই এক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে এই কোলাবরেশনে গেলে খুব একটা ভালো হবে না। অনেকক্ষেত্রেই ভুল মানুষকে বিশ্বাস করা হয়ে যায়, অযোগ্য লোককে সুযোগ দেওয়া হয়ে যায়, এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে? আর আমার ১১ বছর ধরে তৈরি করা ব্র্যান্ডকে রিস্কে ফেলতে চাই না।'
আরও পড়ুন-'মতের মিল হচ্ছে না বিচ্ছেদই শ্রেয়', সাফ জানালেন অঙ্কুশ
ঠিক কী ঘটেছে? এই প্রশ্নে অঙ্কুশ বলেন, 'কাদা ছোড়াছুড়িতে যেতে চাই না। তবে এটুকু বলব, বড় সিনেমা বানানো, দর্শকদের কোনও কিছু প্রমিশ করা ছেলেখেলা নয়। কিছু মানুষ সেটাই ভেবে ফেলে। তবে এর অর্থ এই নয় যে আমি কোনওদিন কোনও কোলাবরেশনে যাব না, আমার প্রযোজনা সংস্থার আরও দুটি ছবি হচ্ছে কোলাবরেশনে, যেগুলি ইতিমধ্যেই লক। তবে এরপর থেকে কাউকে বিশ্বাস করতে হলে সাবধান হয়েই করব।'
'মির্জা নিয়ে 'অঙ্কুশ হাজরা মোশন পিকচার্স'-এর 'নেক্সজেন ভেঞ্চার্স'-এর থেকে আলাদা হওয়ার খবর সামনে আসতেই অনেকে অনেক মন্তব্য করছেন। সে প্রসঙ্গে অঙ্কুশ বলেন, ' যাঁরা ঘটনা না জেনে উপসংহার টেনে ভিডিয়ো বানাচ্ছেন, তাঁদের বলব, বাইরে থেকে খেলা দেখে অনেক সময় অনেক কিছুই মনে হয়। তবে যাঁরা খেলাটা খেলেন, তাঁরাই জানেন ঠিক কী পরিস্থিতি। তাই না জেনে মন্তব্য করবে না, জাজমেন্টাল হবেন না।'
অঙ্কুশ আরও বলেন, 'মির্জা আমার হৃদয়ের খুব কাছের। এই ছবিটি নিয়ে বহু মানুষের অনেক আশা, আমি সেগুলি নষ্ট করব না। এটা যখনই আসুক না কেন, বড় করেই আসবে। আর এই ছবিটা আমি নিজের মনের মতো করে বানাতে চাই।'