Ankush Hazra | Priyanka Sarkar: ‘শুধু ভালোবাসাই মানুষের ধর্ম!’ 'কুরবান'-এর ফার্স্টলুকে নজরকাড়া অঙ্কুশ-প্রিয়াঙ্কা

Ankush Hazra | Priyanka Sarkar: ‘অঙ্কুশ ভীষণ প্রিয় একজন অভিনেতা, এর কমিক সেন্স নিয়ে বহু কথা হয়েছে। আমি ওর সাথে কাজ করেছি। কিন্তু এই চরিত্রটা যেভাবে ও ফুটিয়ে তুলেছে তা প্রশংসার। ও খুবই ডিসিপ্লিনড একজন অভিনেতা’। অঙ্কুশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রিয়াঙ্কা সরকার। প্রথমবার একসঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তাঁরা।

Updated By: Aug 25, 2023, 03:56 PM IST
Ankush Hazra | Priyanka Sarkar: ‘শুধু ভালোবাসাই মানুষের ধর্ম!’ 'কুরবান'-এর ফার্স্টলুকে নজরকাড়া অঙ্কুশ-প্রিয়াঙ্কা

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চেনা পরিচিত চরিত্রের বাইরে একেবারে অন্য লুকে চমকে দিলেন অঙ্কুশ হাজরা(Ankush Hazra)। ছবির নাম 'কুরবান'(Kurban)। পরিচালক শৈবাল মুখোপাধ্যায়ের প্রথম ফিচার ফিল্ম হতে চলেছে এই ছবি। অঙ্কুশের পাশাপাশি এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার(Priyanka Sarkar)। ছাপোষা দম্পতির গল্পে রয়েছে অন্য মোড়। ‘কুরবান’ মানুষের কথা বলে, হাসানের কথা বলে। জীবনের নানা রকম ওঠানামায় মানুষকে যে কি কি করতে হয়, সেই জানা না জানা পথের কথা বলে।

আরও পড়ুন- Telly Academy Awards 2023: সেরা গীতিকার, ‘জগদ্ধাত্রী’-র জন্য টেলি অ্যাকাডেমি মমতার…

ছবির গল্পে সবুজ গ্রামের প্রেক্ষাপটে সহজ সরল হাসান আর হিজলের সংসার। অন্য মানুষের থেকে একটু বেশিই যেন অনুভূতিপ্রবন হাসান। তার কারণ হয়তো তার আব্বা, আম্মি আর আম্মির হিন্দু সই- তার মাসি। একনজরে হাসানের সংসার বড় সুখের মনে হয়। টলমল পায়ে দাওয়ায়, ঘরে, উঠোনে, ঘুরে বেড়ায় তাদের মিষ্টি ছেলে হাসু, মাসির আদরের গোপাল। অন্য জীবনবোধ হাসানকে আর সবার থেকে অনেকটা একা রাখে। যেমন সে বিশ্বাস করে- ছিপ দিয়ে মাছ ধরা আসলে বিশ্বাসঘাতকতার অন্য নাম। কারণ খাওয়ার দাওয়াতে ডেকে তাদের মারা হয়। জীবনের শেষ লড়াই করবার সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হয়। জীবন হাসানকে আলাদা ভাবে দেখে, সেও জীবনকে। হাসানের কথায়, ব্যবহারে কিসের যেন একটা ইঙ্গিত ধরেও ধরতে পারেনা হিজল...হাসান বিশ্বাস করে "শুধু ভালোবাসাই মানুষের ধর্ম...!" তারপর...?

পরিচালক শৈবাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সিনেমার জন্য গল্প লিখতে গিয়ে চরিত্র অনুযায়ী কিছু মুখ ভেসে ওঠে। হাসানের চরিত্র চিত্রণের যেমন প্রথমেই অঙ্কুশের সেনসিটিভ চোখদুটো ভেসে উঠেছিল। দেখতে পেয়েছিলাম মাথায় বড় চুল, একগাল এলোমেলো দাড়ি নিয়ে স্নিগ্ধ, স্থির, গভীর হাসানকে। একইভাবে হিজলকে খুঁজে পাই  প্রিয়াঙ্কার  মধ্যে। গ্রামের একটি সুন্দর, অল্পবয়সী, প্রাণবন্ত, মুসলিম বৌ, যে তার নিজের কথা বলতে পারে। যার নিজের স্বপ্নের জগৎ আছে। ফর্চুনেটলি গল্প শোনবার পর ওরা দুজনেই সিনেমাটা করতে রাজি হয়ে যায়। এরপর শুটিং-এ, চরিত্র চিত্রণে সেটা আরও বেশি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে যখন হাসান, হিজল, তাদের চরিত্রের ইনভল্ভেমেন্টে এতটাই বাস্তব হয়ে ওঠে যে ফ্লোরে অঙ্কুশ ও প্রিয়াঙ্কার জায়গায় আমরা হাসান ও হিজলের সাথে শুটিং এর দিনগুলোয় ছিলাম বলে মনে হয়। হাসান হিজল ছাড়াও, শান্তিলাল মুখার্জি, কাঞ্চন মল্লিক, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সুভদ্রা মুখোপাধ্যায় সবার সঙ্গে কাজের ক্ষেত্রেই আমরা একই অভিজ্ঞতাপূর্ণ হই। কুরবানের শুটিং-এ সিনেমার চরিত্রগুলো তাদের ব্যাক্তিসত্তার থেকে চরিত্রসত্তায় একাত্ত হয়। ব্যাক্তিগতভাবে এনাদের সবার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আমি অনেক সমৃদ্ধ হই। আমার বিশ্বাস সিনেমাটা দেখতে গিয়ে তার প্রতিফলন আপনারা নিজেরাও পর্দায় দেখতে পাবেন’।

এই ছবি প্রসঙ্গে অঙ্কুশ বলেন, ‘আমার কেরিয়ারে আমি এত গভীর কোনও চরিত্র আগে করিনি। সাধারণ আমি এন্টারটেনিং চরিত্র যে নাচ-গান করে, ডায়লগবাজি করে, এমন চরিত্রই করি, সেগুলো এনজয়ও করি কিন্তু এমন কম চরিত্রে অভিনয় করেছি যা আমাকে ভাবিয়েছে বা যেখানে আমি মানসিকভাবে আটকা পড়ে গেছি বা আমার উপর প্রভাব ফেলেছে। হাসান সেরকমই একটা চরিত্র, যা আমার উপর প্রভাব ফেলেছে। তাঁর ইনটেন্স লুক, চরিত্রটার গভীরতা, তাঁর মানসিক স্থিতাবস্থা, যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সে যাচ্ছে, সেগুলো আমি বিস্তারিত বলতে চাইছি না। তবে ঐ চরিত্রটার যে গভীরতা রয়েছে সেটা আমাকে প্রভাবিত করেছে। এটা আমার জন্য কেরিয়ারের অন্যতম সেরা চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। সেই জায়গা থেকে আমি চরিত্রটা এনজয় করেছি। চরিত্রটা সোজা ছিল না তাই অনেকটাই হোম ওয়ার্ক করতে হয়েছে। বাকিটা তো দর্শকই বলবে’।

আরও পড়ুন- 69th National Film Awards: সেরা অভিনেত্রী আলিয়া-কৃতি, শ্রেয়া থেকে অভীক-বাঙালির ঝুলিতে একাধিক জাতীয় পুরষ্কার, রইল তালিকা...

ছবি প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা সরকার করেন, ‘কুরবানের প্রথম গল্পটা, চিত্রনাট্যটা যখন শুনি তখন গল্পটার মধ্যে যে স্পর্শকাতর বিষয় রয়েছে, তা আমার মন ছুঁয়ে গেছে। সেই কারণেই আর দ্বিতীয়বার ভবনার কোনও জায়গা ছিল না। শৈবালের এটা প্রথম ফিচার ফিল্ম পরিচালনা। ওর পর্যবেক্ষন, ও যেভাবে মানুষকে দেখে, বা ওর নিজস্ব সেন্সিটিভিটি খুবই ভালো লেগেছে আমার, শ্যুটিঙের সময় সেটা অনুভব করতে পারি। দর্শক যখন বড়পর্দায় দেখবে তাঁরা সেটা অনুভব করতে পারবে’।

চরিত্র প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমার চরিত্র হিজল, এরকম বাস্তবিক একটা চরিত্র খুবই কম দেখা যায়। সহজ, সরল, গ্রামের একটি মেয়ে যে সংসার করছে, একটা সন্তান রয়েছে, তার স্বামীকে ভালোবাসে। তবে তাঁর জীবনেও কিছু সংকট রয়েছে, সেগুলো সে নিজেই হ্যান্ডেল করছে। কিন্তু সে নিজের চাহিদা বোঝে ও বোঝাতেও পারে। আমিও একজন মেয়ে হিসাবে বুঝতে পারি যে আমিও অনেক সময় নিজের চাওয়া পাওয়া বলে উঠতে পারি না। কিন্তু হিজল কিন্তু নিজের চাহিদা বলার সাহস রাখে। এটা খুব একটা সুন্দর দিক। অভিনেতা হিসাবে পারফর্ম করার একটা দিক আছে, পরিচালকও খুবই যত্নশীল ছিল’।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.