Akshay kumar: শিবাজির সময়ে ইলেকট্রিক বাল্ব! 'ছত্রপতি'র প্রথম ঝলকেই কটাক্ষের শিকার অক্ষয়
মহেশ মঞ্জরেকরের ছবির একটি দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে ইলেকট্রিক বাল্বের ঝাড়বাতি। চারশো বছর আগের ছবির দৃশ্যে দেখা গিয়েছে ইলেকট্রিক বাল্ব। সেই ঝাড়বাতির নিচ থেকে হেঁটে আসছেন অক্ষয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছত্রপতি শিবাজির ভূমিকায় অক্ষয় কুমার। এক মারাঠি ছবি ‘বেদত মরাঠে বীর দৌদলে সাত’-এ ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের চরিত্রে অভিনয় করছেন। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু গোলযোগ বাঁধল ফার্স্টলুক প্রকাশ্যে আসার পরই। মহেশ মঞ্জরেকরের ছবির একটি দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে ইলেকট্রিক বাল্বের ঝাড়বাতি। চারশো বছর আগের ছবির দৃশ্যে দেখা গিয়েছে ইলেকট্রিক বাল্ব। সেই ঝাড়বাতির নিচ থেকে হেঁটে আসছেন অক্ষয়। শিবাজির সময়ে অর্থাৎ ১৬৩০ সালে ইলেকট্রিক বাল্ব এসে গিয়েছিল! এই নিয়ে কটাক্ষে মেতেছে নেটিজেনদের একাংশ।
আরও পড়ুন, Malaika Arora-Arbaaz Khan : ফের কাছাকাছি আরবাজ-মালাইকা, 'কিউপিড' ছেলে আরহান!
নেটপাড়ায় প্রশ্ন, ১৬৩০ সালে ইলেকট্রিক বাল্ব এল কোথা থেকে?ফিলামেন্ট যুক্ত বৈদ্যুতিক বাল্বের জনক টমাস আলফা এডিশনের জন্ম ভারতের স্বাধীনতারও একশ বছর আগে। নেটিজেন বলেন, “ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ জীবিত ছিলেন ১৬৩০ থেকে ১৬৮০ সাল অবধি। আর একশো বছর পর ১৭৮০ সালে আবিষ্কার হয়েছিল ইলেকট্রিক বাল্ব।”
Our Chhatrapati Shivaji Maharaj lived between 1630 to 1680.
The electric light Bulb came in about 1880 two hundred years later !
This is not even creative liberty- it's just lazy film making & terrible that there is such disregard for facts in a film as important as this one. https://t.co/avOyDzpWkL— Tehseen Poonawalla Official (@tehseenp) December 6, 2022
সম্প্রতি অক্ষয় কুমারের একের পর এক ছবি মুখ থুবড়ে পড়তে শুরু করে। পৃথ্বিরাজ চৌহান থেকে শুরু করে রক্ষা বন্ধন বা রাম সেতু, কোনও ছবিই বক্স অফিসে সাফল্য পায়নি সেভাবে। তারপর এই মারাঠি ছবির প্রঝম ঝলক সামনে আসতে না আসতেই সমালোচনার ঝড়। আক্কির সময়টাও বোধহয় ভাল যাচ্ছে না। আবার এটাও ঠিক ঐতিহাসিক চরিত্রের উপর তৈরি ছবি বলে কি যথেচ্ছাচার হবে! এমনও প্রশ্ন করছেন অনুরাগীরা।
আরও পড়ুন,Shahrukh Khan's son Aryan : চিত্রনাট্য তৈরি, অ্যাকশন বলার অপেক্ষায় আরিয়ান, শাহরুখ-গৌরী বলছেন...
অনেকের আবার বক্তব্য, আগে-পিছে কিছু না ভেবে ৪০ দিনে কাজ শেষ করলে এমনই হবে। এর জন্য অনেকেই খোদ হিরো অক্ষয়কে দায়ী করেছেন। অনেকের তির পরিচালক মহেশ মঞ্জেরকর এবং আর্ট ডিরেকটরের দিকে। যদিও অনেকের মত ভিন্ন। তারা মনে করছেন ইতিহাসের অন্যতম গৌরবময় অধ্যায় তুলে ধরতে চলেছে অক্ষয় অভিনীত ‘বেদত মরাঠে বীর দৌদলে সাত’।